শান্তি-সুখের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে : বি. চৌধুরী
ঘরে-বাইরে, গাড়িতে সব জায়গায় ভয় দূর করে দেশে শান্তি-সুখের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সেমিনার হলে বাংলাদেশ পিপলস পার্টি বিপিপি’র প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ঘরে-বাইরে, গাড়িতে সব জায়গায় ভয়, এটা দূর করতে হবে। আমরা শান্তির রাজনীতি সুখের রাজনীতি চাই। আমাদের দেশকে শান্তি-সুখের বাংলাদেশে পরিণত করতে হবে। ইতোমধ্যে আমাদের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি বিশ্বকে চমৎকৃত করেছে।
আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমাদের উদার গণতন্ত্র এবং সহনশীলতার রাজনীতির স্বপক্ষে এমনিভাবে এগিয়ে যেতে পারলে পৃথিবীতে তাও একটি দৃষ্টান্ত হবে।
বি. চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতু বন্ধ করার জন্য ষড়যন্ত্রকারীরা গুজব ছড়াচ্ছে যে, পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে। এ গুজবটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছড়ানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, সামাজিক অস্থিরতা ও অপরাধ বেড়ে যাওয়ার পিছনেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। যেসব রাজনৈতিক দল এ পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত, তাদের দেশপ্রেম নেই।
কারও নাম উল্লেখ না করে বি. চৌধুরী বলেন, কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করছে, কিন্তু তাদের বক্তব্যের ভিত্তি অসত্য। সম্প্রতি সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার স্ত্রী আমেরিকায় গিয়ে যে বক্তব্য রেখেছেন তা কোনোক্রমেই শোভনীয় বা গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, মুসলিমসহ একটি বিরাট জনগোষ্ঠী অনাবাসিক অথবা নাগরিক হিসেবে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও স্পেনে বসবাস করছে। এদের একটি সঠিক পরিসংখ্যান নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিপিপির সভাপতি বাবুল সরদার চাখারীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, বাংলাদেশ গণসংস্কৃতি দলের সভাপতি সরদার শামস আল মামুন (চাষী মামুন), বিকল্পধারার সহ-সভাপতি এনায়েত কবীর প্রমুখ।
এইউএ/জেএইচ/এমএস