গণপিটুনি নিয়ে আইনমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : জামায়াত
গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যে বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার জন্য বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্য সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই।’
সোমবার (২২ জুলাই) নেত্রকোনায় জেলা আইনজীবী সমিতির পাঁচ তলাবিশিষ্ট নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে গণপিটুনি ও ধর্ষণের ঘটনা নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। এর পেছনে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নিখুঁত ষড়যন্ত্র রয়েছে।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘তার এ বক্তব্যের জবাবে আমি সুস্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, জামায়াতে ইসলামী কখনও ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। কাজেই গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার পেছনে জামায়াতে ইসলামীর নিখুঁত ষড়যন্ত্র থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করার গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন। এভাবে নির্জলা মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে সরকারের ব্যর্থতা থেকে জনগণের দৃষ্টি আড়াল করা যাবে না। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার ষড়যন্ত্র কখনও সফল হবে না। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘারে চাপানোর চক্রান্ত বাদ দিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মানুষ হত্যা বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘দেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দেয়া বর্তমান সরকার ও তার মন্ত্রীদের বহু পুরনো অভ্যাস। আইনমন্ত্রীর এ বক্তব্য তাদের সে পুরনো অভ্যাসেরই পুনরাবৃত্তি। জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দেয়া তাদের কোনো একটি বক্তব্যই আজ পর্যন্ত সত্য প্রমাণিত হয়নি। কাজেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দেয়া তাদের কোনো বক্তব্যই দেশবাসী বিশ্বাস করে না। নিজেদের ভাবমর্যাদার কথা চিন্তা করে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমি আইনমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
কেএইচ/জেডএ/জেআইএম