সুষ্ঠু নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে ইসি
নির্বাচন কমিশন দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সব যোগ্যতা হারিয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার ন্যূনতম বিশ্বাসযোগ্যতাও তারা নষ্ট করেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক কমিটির প্রস্তাবে এ সব কথা বলা হয়। সভার প্রস্তাবে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবি জানানো হয়। সেগুন বাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু ও আনছার আলী দুলাল উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যতঃ তারা বিদায় করে দিয়েছে। তাদের অধীনে দেশে আর কোনো স্থানীয় সরকারের নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কোনো অবকাশ নেই।
এতে আরও বলা হয়, গেল ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতি এবং সদ্য সমাপ্ত পাঁচ পর্বের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহা তামাশার পর নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনআস্থা এখন শূন্যের কোঠায়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ছয় মাস পর নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে তারা যে অভূতপূর্ব সংগতিহীন নির্বাচনী ফলাফল প্রকাশ করেছে তাতেই ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের নজিরবিহীন জালিয়াতির চিত্র ধরা পড়েছে। ২৪ হাজার কেন্দ্রের ৮০ শতাংশের উপর ভোট পড়া, ১২৮৫ কেন্দ্রে প্রধানবিরোধী দলের শূন্য ভোট দেখানো, ৫৮৭ কেন্দ্রে সরকারি দলের প্রতীকে শতভাগ ভোট, ইভিএমএ ৫১.৪২ শতাংশ ভোটের বিপরীতে ব্যালটে ৮০.৮০ শতাংশ ভোট দেখানোসহ অভূতপূর্ব অসংগতি ও অনিয়মের চিত্র ধরা পড়েছে।
বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশন সদস্যদের বক্তব্য ও বিবৃতির মধ্য দিয়ে এসব নির্বাচনী জালিয়াতির স্বীকৃতিও পাওয়া গেছে।
সভার প্রস্তাবে ৩০ ডিসেম্বরের ব্যর্থ ও অকার্যকর নির্বাচনের দায় নিয়ে অনতিবিলম্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
এফএইচএস/এএইচ/এমকেএইচ