ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ‘পাঠচক্রের’ পরামর্শ তথ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাঠচক্র করার পরামর্শ দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি তরুণ প্রজন্মকে অনুরোধ জানাব, পাড়ায় পাড়ায় পাঠচক্র করার জন্য। আমরা যখন ছাত্রলীগ শুরু করি, আমাদেরকে আমাদের নেতারা বই পড়তে দিতেন। আমাদের নেতাদের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন। আমাদের নেতারা বই পড়তেন। এখনকার নেতাদের বলব তরুণদের বই পড়তে দেয়ার জন্য।

শুক্রবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনেছে। নতুন প্রজন্মকে বলব আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানার জন্য, পড়ার জন্য। শুধু অমুক ভাই এগিয়ে চল, অমুক ভাইয়ের ভয় নাই.. আমরা সবাই তোমার সাথে-এসব স্লোগান দিলে হবে না।’

তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে গ্রুপিং থাকে। তখনো দলের মধ্যে গ্রুপিং ছিল। কিন্তু গ্রুপিং ছিল আদর্শভিত্তিক, ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। আমি অনুরোধ জানাব, দলের মধ্যে পড়াশোনার চর্চা করার জন্য। দেশের ইতিহাস জানার জন্য, ভারতবর্ষের ইতিহাস জানার জন্য, দলের ইতিহাস জানার জন্য।’

Hasan-(1)

রাজনীতি একটি ব্রত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজনীতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার হাতিয়ার নয়, সোপান নয়। বিত্তবৈভব অর্জনের জন্য রাজনীতি নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা রাজনীতিকে ব্রত হিসেবে নিয়েছেন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দেশ এগিয়ে গেছে। কেউ স্বীকার করুক বা না করুক, কেউ দেখেও না দেখার ভান করুক, গত ১০ বছরে দেশ কিন্তু বদলে গেছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছি।’

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।