গুম-খুনের বাইরেও জনগণের ওপর অদৃশ্য নির্যাতন হচ্ছে: অধ্যাপক দিলারা
শিক্ষাবিদ অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেছেন, যেহেতু এ সরকার নির্বাচনের দ্বারা নির্বাচিত হয় নাই সে জন্য সরকার তাদেরকে টিকিয়ে রাখার জন্য জনগণের ভেতর একটা ভীতির সৃষ্টি করছে যাতে মানুষ তাদের ক্ষমতাকে কোনোমতে চ্যালেঞ্জ করতে না পারে।
নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। সেমিনারের আয়োজন করে বিএনপি।
দিলারা চৌধুরী বলেন, নির্যাতন দুই ধরনের হচ্ছে, একটা দৃশ্যমান খোলাখুলিভাবে। আমরা দেখছি গুম করছে, খুন করছে, পঙ্গু করে দিচ্ছে এ গুলো দৃশ্যমান। এর বাইরেও কতগুলো অদৃশ্যমান নির্যাতন হচ্ছে, সেটা হলো আমি যদি কিছু বলতে চাই, প্রথমেই আমার বিরুদ্ধে একটা মামলা দিয়ে বসবে অথবা আমার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টগুলো সুইজ করে দেবে। এভাবে জনগণকে একটা মুঠোর মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হয় যেটা আমরা বাংলাদেশে দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজকে আমরা বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীদের দৃশ্যমান বিষয়গুলো দেখছি। কিন্তু এর বাইরে যে নির্যাতন হচ্ছে কেউ সেটা তুলে ধরছে না। কাগজের গণমাধ্যমের যেটা দায়িত্ব ছিল কেউ সেটা করছে না। সাধারণ জনগণ কীভাবে নির্যাতিত হচ্ছে সে তথ্য আমরা পাচ্ছি না।
অধ্যাপক দিলারা বলেন, আমাদের যে মৌলিক অধিকার, কথা বলার অধিকার, মতামত দেয়ার অধিকার সবকিছু কেড়ে নেয়া হচ্ছে। আজ বিনা কারণে মানুষ মনে করে এই বুঝি পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে গেল। মানুষ ভয়ে কিছু বলছে না কারণ তাদের ঘরে যুবক ছেলে আছে, কখন যে তাকে ধরে নিয়ে যাবে সেটা বাবা-মা জানে না। এই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা একটা অত্যাচার।
শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তচিন্তা, মুক্ত আলোচনা ছাড়া শুভ কোনো কিছু সমাজে ঘটতে পারে না। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গবেষণা করে না, কারণ তারা ভাবে আমি কিছু লিখতে গেলে আইসিটি মামলা দিয়ে দেবে। ছাত্ররা হলের মধ্যে আতঙ্কে থাকে, কখন জানি তাদের সরকারি দলের ছেলেরা মারধর করে।
বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/বিএ