গরিবের টাকা লুট করে বড়লোকদের মধ্যে বিতরণ চলছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:১৭ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গরিবের টাকা লুট করে বড়লোকদের মধ্যে বিতরণ চলছে।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলের যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খসরু বলেন, রবিনহুড বড়লোকদের টাকা গরিবদের দিত। তবে বাংলাদেশে নতুন রূপ দেখা যাচ্ছে। একটা দেশের সম্পদের ওপর সব নাগরিকের অধিকার থাকে। সুশাসন থাকলে সেই সম্পদের বণ্টন অনেকটা গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে করা যায়। কিন্তু দেশে রবিনহুডের বিপরীত দিক দেখতে পাচ্ছি। গরিব, কর্মজীবীদের টাকা লুটপাট করে ধনীদের মধ্যে বিতরণের একটা প্রক্রিয়া দেখছি। বড়লোক মানে তারা আবার দলীয় বড়লোক হতে হবে, এমনে বড়লোক হলে চলবে না।

ভ্যাটের আওতা বাড়ানো নিয়ে খসরু বলেন, সাধারণ গরিব, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যেসব জায়গায় তাদের টাকা খরচ করবে সেসব জায়গায় ভ্যাট বসানো হয়েছে। তারা বলছে, ৭ শতাংশ কিন্তু মূলত যাচ্ছে ২১ শতাংশ এবং এটা দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। যে লোকটি কম আয়ের কারণে ট্যাক্সের আওতায় আসে না তাকেও এ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। এটা অনেক বড় অন্যায়।

তিনি আরও বলেন, একদিকে ব্যাংক লুট হচ্ছে, অন্যদিকে জনগণের করের টাকায় সেটা কাভার করা হচ্ছে। দিন শেষে অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, দেশের টাকায় কুলাচ্ছে না এখন ঋণ করতে হচ্ছে। সব জায়গায় ঋণ করতে করতে এমন অবস্থা এখন ব্যাংকে টাকাই নেই। এই যে একটি অর্থনৈতিক কাঠামো দেশে সৃষ্টি করেছে যে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করে, তাদের কিছু সীমিত দলীয় ব্যবসায়ী মিলে একটি চক্র সৃষ্টি হয়েছে। এটা হচ্ছে আজকে দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এখান থেকে বের হতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, ভোটাধিকারের জন্য নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্তু মধ্যরাতের ভোটের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতা দখল করা হয়েছে। এ বিপর্যয় দেশের মানুষের গণতন্ত্রের বিপর্যয়, বিএনপির নয়। নেতাকর্মীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিন্তু গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপি সংসদেও গেছে। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে এ মুহূর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তি অপরিহার্য।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আজম খানের সভাপতিত্বে সভায় দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, তথ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, এম জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।