ইন্টারনেট উৎসবের ঢাকা আয়োজনের পর্দা নামলো
নানা উৎসাহ উদ্দীপনা, দর্শক সমাগম আর বিনোদনের নানা মাত্রা দিয়ে শেষ হলো ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট উৎসব ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং গ্রামীণফোন সপ্তাহব্যাপি এই উৎসব আয়োজন করে।
উৎসবে অংশ নেয় ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারাদেশের স্থানীয় মোবাইলভিত্তিক উদ্যোগ। দর্শণার্থীরা এসব সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারেন।
শনিবার বিকেলে গণভবন থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে একযোগে সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি স্থানে আয়োজিত উৎসবেরও উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বনানী মাঠে আয়োজিত উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এদিন রাত ৮টায় তরুণ প্রজন্মদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিট দ্য ইয়ুথ’ শীর্ষক আলোচনা। এরপর মেলার আনন্দকে আরো বাড়িয়ে দিতে শূন্য ব্র্যান্ডের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান ও পরে ডিজে পরিবেশিত হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আনন্দের নতুন মাত্রা যোগ করতে অনুষ্ঠানস্থনে উপস্থিত হন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের তিন সদস্য তামিম ইকবাল, তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয়। তারা জনসমাগম স্থলে উপস্থিত হন, ইন্টারনেটের নানা দিক সম্পর্কে তুলে ধরেন এবং দর্শনার্থীদের ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করেন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপি অনুষ্ঠানে তরুণ-দর্শকদের অংশ ছিল প্রাণবন্ত।
পরে সেলফি তোলার আয়োজন করা হয়। এরপর মঞ্চ মাতিয়ে, দর্শক নাচিয়ে তোলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। শেষ দিনে সমাপনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নেমেসিস ব্র্যান্ডের পরিবেশনায় সঙ্গীতানুষ্ঠান ও পরে ডিজে পরিবেশিত হয়।
উল্লেখ্য, ঢাকায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে বুধবার রাজশাহীর নানকিং বাজার ও শুক্রবার সিলেট সিটি ইনডোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের বড় উৎসব আয়োজিত হবে। এছাড়া দেশের সবকটি উপজেলায় এই উৎসব পালন করা হবে।
বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bangladeshinternet.org ও ফেসবুক পেইজ www.facebook.com/BDInternetWeek থেকে এই উৎসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
বিএ