গরিব মারার বাজেট : গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের নেতারা বলেছেন, জনগণের ভোটে এ সংসদ নির্বাচিত হয়নি, তাই এর বাজেট দেয়ার নৈতিক অধিকার নেই। আর এ জন্যই সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট আগের মতোই গতানুগতিক, ঋণনির্ভর ও ঘাটতি বাজেট। এই বাজেট লুটেরা-ধনীক শ্রেণীর বাজেট। এই বাজেট গরিব মারার বাজেট। কারণ এবারের বাজেটেও কালো টাকা সাদা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাজেট প্রত্যাখ্যান করে আজ (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে নেতারা এসব কথা বলেন। কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক ডা. এম এ সামাদ। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা সামসুল আলম সরকার, সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় সদস্য আবু মাছুম, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য অরবিন্দু বেপারীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
নেতারা বলেন, বাজেটে রাজস্ব আয়ের যে প্রস্তাব করা হয়েছে তা আদায় করা হবে কীভাবে তার নির্দেশনা নেই। গতবারের অভিজ্ঞতা বলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা আদায়যোগ্য নয়। বাজেটে ৪ স্তরের যে নতুন ভ্যাট আইন প্রণয়ন করার প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে গ্রাহক ভোক্তা হয়রানি বাড়বে। সেইসঙ্গে কর আদায়ে জটিলতা বাড়বে। প্রতিবারের মতো এবারও পোশাক শিল্পে পূর্বের ৩৬০০ কোটি টাকার সঙ্গে নতুন করে ২৮২৫ কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়ার প্রস্তাব করা হলেও গার্মেন্টস শ্রমিক ও গ্রামীণ শ্রমজীবীদের রেশনে কোনো থোক বরাদ্দ রাখা হয়নি। শিক্ষা খাতে ১৬.৫% বরাদ্দ দেখানো হলেও বাস্তবে এটা সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, মাদরাসা শিক্ষা, ক্যাডেট কলেজ, সামরিক শিক্ষা এবং ২৮ মন্ত্রণালয়ের ট্রেনিংকে যুক্ত করে দেখানো হয়েছে। এতে বরাদ্দ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা শুভঙ্করের ফাঁকি। কৃষি খাতের যে বরাদ্দ তাও কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, ভূমি, বন ও পরিবশে, পানিসম্পদ এ ৫ মন্ত্রণালয়ের যৌথ বরাদ্দ।
এফএইচ/এনএফ/পিআর