ধার বেড়েছিল খালেদার দাঁতে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ১২ জুন ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রি. জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক বলেছেন, জিহ্বার ডান দিকে ঘা হওয়ায় খালেদা জিয়া দু-তিনদিন ধরে মুখে ব্যথা অনুভব করছিলেন। এ কারণে আজ (১২ জুন) তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেন্টাল অনুষদের কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট্রি অ্যান্ড অ্যান্ডোডনটিকস বিভাগে নেয়া হয়।

তিনি বলেন, সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় তার জিহ্বার ডান পাশে কিছুটা ক্ষত হয়েছে। জিহ্বার ডান পাশের একটা দাঁতে ধার কিছুটা বেশি থাকায় এমন হয়েছে। এ কারণে মেশিন দিয়ে দাঁতটি মসৃণ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া যেখানে ভর্তি আছেন সেই কেবিন ব্লকে দাঁত পরীক্ষার মেশিন আনা সম্ভব হয়নি বিধায় তাকে গাড়িতে দন্ত বিভাগে নেয়া হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে যে অবস্থায় বিএসএমএমইউতে আনা হয়েছিল এখন তার শারীরিক অবস্থা সে তুলনায় অনেক ভালো। ডায়াবেটিস আগের চেয়ে নিয়ন্ত্রণে আছে, নিয়মিত ইনসুলিন দেয়া হচ্ছে।

ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা অভিযোগ করেছেন, খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তার মুখে প্রচণ্ড ব্যথা, হাত নাড়াতে পারেন না- এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তারা আমার সঙ্গে কোনোরূপ যোগাযোগ না করে কিংবা বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের কথা না বলেই এমন মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে শিগগিরই স্থানান্তর করা হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কারা কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করছি। সার্বিক বিবেচনায় তারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।

এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল অনুষদের কনজারভেটিভ ডেনটিস্ট্রি অ্যান্ড অ্যান্ডোডনটিকস বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে তাকে ৪৫ মিনিট পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা শেষে বেলা পৌনে ২টার দিকে একটি মাইক্রোবাসে পুনরায় ৬২১ নম্বর কেবিনে নিয়ে আসা হয়।

প্রসঙ্গত গত ২৫ মার্চ বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। তিনি আর্থাইটিস ও ডায়াবেটিসের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।

সেখানে ভর্তি পর গত ২৮ মার্চ খালেদা জিয়ার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এ বোর্ডের প্রধান হলেন ডা. জিলন মিঞা। বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন- ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. তানজিমা পারভিন, ডা. বদরুন্নেসা আহমেদ, ডা. চৌধুরী ইকবাল মাহামুদ। এছাড়া ডা. শামিম আহমেদ এবং ডা. মামুন মেডিকেল বোর্ডকে সহযোগিতা করছেন।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও আর্থিক জরিমানা করা হয়। এ রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। বিএসএমএমইউতে স্থানান্তরের আগে তিনি সেখানেই বন্দি ছিলেন।

এআর/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।