সব সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতি চলছে : বাম নেতৃবৃন্দ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ০১ জুন ২০১৯

দেশের সব সেক্টরে সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতি চলছে। তার প্রমাণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বালিশ-কেটলি ক্রয়ের চিত্র। এটা দুর্নীতির অতিক্ষুদ্র চিত্র। মূল দুর্নীতি পুকুর চুরি নয়, সমুদ্র চুরি হয়েছে। সকল সেক্টরেই দুর্নীতি চলছে। সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়ন কোথাও নেই।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও মিছিলে বাম নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এম. এ সামাদ।

বালিশ কেলেঙ্কারির মূল হোতাদের গ্রেফতার, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সকল আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসম্মুখে প্রকাশ, অর্থ পাচারকারী, খেলাপীদের ঋণ মওকুফ না করে কৃষকদের ঋণ মওকুফ করা এবং ১২০০ টাকা মণ দরে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এম. এ সামাদ বলেন, আমরা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ ঘোষণার বাস্তবায়ন চাই। রূপপুর প্রকল্পে লুটপাটকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।

তিনি বলেন, অর্থপাচারকারী ও খেলাপীদের ঋণ মওকুফ জনগণ মেনে নেবে না। সারাদেশে কৃষকদের বিরুদ্ধে যে সার্টিফিকেট মামলা হয়েছে সেই কৃষিঋণ মওকুফ করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক হারুন চৌধুরী, কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় পলিটব্যুরোর সদস্য সাহিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা সামসুল হক, মোস্তফা আল খালিদ বিন মাহমুদ, শহীদ আসাদ পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান মিলন, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক সামছুল আলম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ, দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুণ অর রশিদ, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন অর রশিদ, গণসংগঠক মাহাবুব খোকন প্রমুখ।

এফএইচএস/এমএমজেড/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।