অচল আইনের কারণেই ব্যাংকে অর্থ কেলেঙ্কারি
ব্রিটিশ আমলের অচল ঋণ আইনের কারণেই ব্যাংকে অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটছে। এ আইন সরকারকে কোনো স্বচ্ছ ও সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করে না। যার ফলে ব্যাংকগুলোর ঋণ ব্যবস্থানপার নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে রাখতে পারছেন না।
রোববার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমন তথ্য উপস্থাপন করেছেন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি সিঅ্যান্ডএজি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত অর্থ মন্ত্রণালয়কে এ সংক্রান্ত একটি আইন প্রণয়নের পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
কমিটির সভাপতি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, পঞ্চানন বিশ্বাস, মো. আফসারুল আমীন, শামসুল হক টুকু, মঈন উদ্দীন খান বাদল, এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম, রুস্তম আলী ফরাজী এবং বেগম ওয়াসিকা আয়েশা খান অংশ নেন। সিঅ্যান্ডএজি মাসুদ আহমেদ, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অডিট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ২০০৯-২০১০ অর্থ বছরে দেশের সরকারি ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং রিপোর্টিংয়ের উপর মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় বেসিক ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ব্যাংকের অর্থ কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে আনেন কমিটির সদস্যরা। এসব অর্থ কেলেঙ্কারির জন্য তারা দুর্বল ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেন।
তবে সিঅ্যান্ডএজি অফিসের দেয়া প্রতিবেদনে এসব অনিয়মের জন্য ১৯৪৪ সালে বৃটিশ সরকারের সময় প্রণয়ন করা সরকারি ঋণ আইনকেই (Public Debt Act) দায়ী করা হয়েছে।
বৈঠকে বিক্রয়যোগ্য সিকিউরিটি আইনটি যথাযথ নয় বলে জানায় সিএন্ডএজি কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে উন্নয়ন প্রকল্পের হিসাব ব্যবস্থাপনাও সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ন নয় বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি। কমিটি ঋণ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সংসদের আগামী অধিবেশনের মধ্যে বিক্রয়যোগ্য সিকিউরিটি আইনটি সংসদে উপস্থাপন এবং যে কোন উন্নয়ন প্রকল্প ছক প্রণয়নের আগে সিঅ্যান্ডএজির সম্মতি নেয়ার সুপারিশ করে।
এছাড়া বৈঠকে সম্পূরক বাজেট সংসদে উত্থাপনের আগে অতিরিক্ত ব্যয়ের হিসাব সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটিতে উপস্থাপনের মাধ্যমে এর যৌক্তিকতা নিরূপন সাপেক্ষে সংসদে উত্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
এইচএস/এএইচ/আরআইপি