কিবরিয়া হত্যা : আবারো পেছালো চার্জ গঠন


প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের তারিখ আবারো পেছানো হয়েছে। মামলার অন্য সব আসামি হাজির থাকলেও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর অসুস্থতার কারণে আদালতে হাজির না হওয়ায় নবম বারের মতো চার্জ গঠনের তারিখ পেছোলো।

রোববার বেলা ১১ টায় চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় কারাগারে আটক থাকা ১৪ আসামির মধ্যে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নানসহ ১৩ জনকেই বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। আরিফকে হাজির না করায় ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মকবুল আহসান মামলার অভিযোগ গঠন না করে পরবর্তী তারিখ পরে জানানো হবে বলে আদেশ দেন।

তবে আরিফুল হক চৌধুরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই মেডিকেল প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ে নবম দফায় চার্জ গঠনের তারিখ পেছালো। এর আগে ২১ জুন, ৬, ১৪, ২৩ জুলাই, ৩, ১০, ১৮ ও ২৫ আগস্ট এবং সর্বশেষ রোববার আলোচিত এই মামলার চার্জ গঠনের তারিখ পেছানো হলো।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার বহুল আলোচিত এই মামলার শুনানি শুরু হয়। শুনানি চলাকালে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজির শীর্ষ জঙ্গি মুফতি হান্নান, হবিগঞ্জ পৌরসভার বরখাস্ত হওয়া মেয়র জি কে গৌছসহ কারাগারে আটক ১৪ জন আসামির মধ্যে মাত্র ১৩জন আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওই মামলায় জামিনে থাকা ১৫ আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।

এর আগে, গত ১১ জুন হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. আতাবুল্লাহ আলোচিত এই মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। কিন্তু হবিগঞ্জ থেকে মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার  ট্রাইব্যুনালে আসার পর অসুস্থতাজনিত কারণে এ পর্যন্ত একদিনও আদালতে হাজির করা হয় নি সিসিকের সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে।

সরকার পক্ষে মামলার আইনজীবী সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর জাগো নিউজকে জানান, সব আসামি আদালতে হাজির না থাকায় মামলার চার্জ গঠন হয়নি। মামলার পরবর্তী তারিখ পরে জানানো হবে।

আসামি পক্ষে মামলা শুনানি করেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল খালিক ও অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান।
    
এদিকে, যুবদল নেতা এমএ কাইয়ুমসহ ১৫ জন জামিনে আছেন। এছাড়া মামলা চলাকালীন একজনের মৃত্যু হয়েছে ও ভারতে পলাতক থাকা কাজল ও ফাহিমের নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচজন নিহত হন।

ছামির মাহমুদ/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।