আর ঘরে বসে থাকা চলবে না : রিজভী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৭ পিএম, ১৯ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থতায় ভুগছেন। তার জামিনযোগ্য মামলায় জামিন দরকার। কিন্তু তাকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। কারণ শেখ হাসিনার ভয়-বেগম জিয়া দাঁড়াতে পারলে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা ফিরে পাবে। কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পাবে। শ্রমিকরা ন্যায্য পাওনা পাবে। এ জন্য তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, এ জন্য প্রতিবাদ করতে হবে। আর ঘরে বসে থাকা চলবে না। রাজপথে আমাদের আসতেই হবে। তা নাহলে আমাদের কারও অধিকার থাকবে না। এ সরকারের পতন ঘটাতেই হবে।

আজ রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনিপর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে রিজভী এসব কথা বলেন। ধর্মীয় অনুভূতির অভিযোগ এনে অভিনেতা পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ওলামা দল এ প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে।

মিছিলটি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় হয়ে আবার নয়াপল্টনে এসে শেষ হয়।

রিজভী আহমেদ বলেন, সরকার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। এই কারণে সরকার জোর করে ক্ষমতায় রয়েছে। তার কাছে ভোটের কোনো দাম নেই, জনগণের কোনো দাম নেই, গণতন্ত্রের কোনো দাম নেই। যারা এসবের দাম দেয় তাদেরকে কারাগারে থাকতে হয়। বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে থাকতে হয়, কারণ তিনি সুষ্ঠু ভোটকে গুরুত্ব দেন, গণতন্ত্রকে গুরুত্ব দেন। তিনি মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেন।

জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহ্বায়ক ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হকের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মাওলানা নজরুল ইসলাম তালুকদারের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ওলামা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা কাজী আবুল হোসেন, মাওলানা মাহমুদুল হাসান শামীম, মুফতি এ বি এম শরিফ উল্লাহ, ক্বারী সিরাজুল ইসলাম, ক্বারী এখলাছ উদ্দিন বাবুল, মাওলানা আলমগীর হোসেন খলিলী, মাওলানা হাবিব উল্লাহ নোমানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওলামা দলের সদস্য সচিব ক্বারী মো. রফিকুল ইসলাম, উত্তরের সদস্য সচিব হাজি মো. মঞ্জুরুল ইসলাম, উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মাওলানা হাফেজ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা তাজুল ইসলাম, শাহজাহান কামাল, দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম অরুণ, মাওলানা আশরাফ আলী, মাওলানা আবুল হাসান, মাওলানা হাবিবুর রহমান ও মাওলানা জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।