প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী মানবকল্যাণ : ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১৭ মে ২০১৯

দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য বজায় রেখে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র রক্ষায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে ধর্ম, বর্ণ, মত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (বাংলাদেশ ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এ আহ্বান জানান। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে তাদের সুখ, শান্তি ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন নেতৃদ্বয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রতিটি ধর্মের মূল বাণী হলো মানবকল্যাণ। আমরা বিশ্বাস করি, এই অস্থির ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মানবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বুদ্ধের মতাদর্শ খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বৌদ্ধ সম্প্রদায় ঐতিহ্য এবং বুদ্ধের অমর আদর্শ ধারণ করে দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে। গৌতম বুদ্ধের বাণী- অহিংসা পরম ধর্ম- এখনও সমাজের জন্য প্রযোজ্য।

তারা বলেন, মহামানব গৌতম বুদ্ধ ত্যাগের মধ্য দিয়ে সুখ আহরণে এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সব মায়াবি বন্ধন উপেক্ষা করে চলার পথের সব প্রতিকূলতাকে সহ্য করে তিনি বোধিজ্ঞান বা বুদ্ধত্ব লাভ করেন। বুদ্ধত্ব লাভের মাধ্যমে তিনি জগতের সব প্রাণীর কল্যাণ, সুখ ও মঙ্গলের জন্য নিরন্তর ধর্ম প্রচার করেছেন। ন্যায় ও অহিংসাই হচ্ছে তার বাণীর মূল প্রতিপাদ্য।

ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী, জাতীয় নেতা শশিউর রহমান যাদু মিয়া ও শফিকুল গানি স্বপনের প্রদর্শিত প্রগতিশীল বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনেই এ দেশের সব বর্ণ, ধর্মীয় সম্প্রদায় ও নৃগোষ্ঠী ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের কল্যাণ করা সম্ভব। জাতীয়তাবাদই সবাইকে একই বন্ধনে আবদ্ধ করে। পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা ও সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে।

কেএইচ/জেডএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।