‘লংমার্চের মাধ্যমে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বীজ বপন হয়েছিল’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

১৯৭৬ সালের ১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। আর এই ফারাক্কা লংমার্চের মাধ্যমেই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের বীজ বপন হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চ কর্মসূচি সকল আধিপত্যবাদবিরোধী সংগ্রামে আমাদের আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এসব কথা বলেন এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া।

তিনি বলেন, নদীমাতৃক এই বাংলাদেশ আজ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র ভারতের অব্যাহত পানি-সীমান্ত-সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশ আজ তার স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকবে কিনা, সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাদের আগ্রাসনের পক্ষে কাজ করছে শাসকগোষ্ঠীর ভেতর লুকিয়ে থাকা তাদেরই এ দেশীয় এজেন্টরা।

ভারত উজানের রাষ্ট্র হিসেবে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সৎ প্রতিবেশী হিসেবে আচরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ন্যাপ মহাসচিব। তিনি বলেন, ফারাক্কা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পক্ষে দেশের স্বার্থবিরোধী ওকালতি করছে। যারা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না তাদের ক্ষমতায় থাকার বা যাবার অধিকার থাকে না।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র মূলত দুটি উদ্দেশ্যে পানি আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। এর একটি হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে পানিকে ব্যবহার করা আর রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণ করা ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিণত করা। তিনি ভারতসহ সকল আধিপত্যবাদী শক্তির আগ্রাসন রুখতে হলে দেশের জনগণের ঐক্যকে শক্তিতে পরিণত করতে আহ্বান জানান।

গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বলেন, ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে আবারো দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিণত করার যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তার বিরুদ্ধে দেশের সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

তিনি বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর পদর্শিত পথই হচ্ছে ভারতের অব্যাহত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথ। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে কার্যকরী সম্পর্ক। আমরা শুধু ভারতকে দিয়ে যাব বিনিময়ে কিছুই পাব না তা হতে পারে না।

ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুঁইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সহ-সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম ইমন প্রমুখ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

কেএইচ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।