নড়াইলের সাবেক গর্ভনরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০৫:৫৬ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতা কমিটির সদস্য এবং সাবেক এমএনএ, এমপি, গর্ভনর খন্দকার আব্দুল হাফিজের ১৪তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ শনিবার। দিবসটি উপলক্ষে আব্দুল হাফিজ স্মৃতিরক্ষা পর্ষদ নড়াইল জেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।

খন্দকার আব্দুল হাফিজ ১৯৩০ সালের ১ মার্চ নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মৃত খন্দকার আব্দুল ওয়াদুদ এবং মা মৃত সফুরা খাতুন। তিনি মির্জাপুর বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, ১৯৪৫ সালে খুলনা ফুলতলা দামোদর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এন্ট্রান্স, ১৯৪৭ সালে খুলনা বিএল কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ১৯৫১ সালে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করেন।

১৯৪৫ সালে স্কুল থেকে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। জীবনের প্রথম দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি দামোদর স্কুল শাখার তৎকালীন ইস্ট পাকিস্তান স্টুডেন্ট লীগের সভাপতি মনোনীত হন।

১৯৫১ সালে খুলনা বিএল কলেজের ভিপি, ১৯৫৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএম হলের জিএস, ১৯৫৪ সালে দৈনিক ইত্তেফাকের প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান আওয়ামী লীগ থেকে পাকিস্তান-৭৩, নড়াইল আসন থেকে এমএনএ নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি এ অঞ্চলের মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাকে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য (ড্রাফটিং কমিটির সদস্য) মনোনীত করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্তৃক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ৯৪-নড়াইল-২ আসন থেকে মনোনয়ন পান এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু কতৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। ১৯৭৫ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নড়াইলের গভর্নর মনোনীত হন। ১৯৮৫ সালে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর বুধবার রাত সাড়ে ৮ টায় যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।

হাফিজুল নিলু/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।