অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণে মায়েদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২২ পিএম, ১১ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

শনিবার আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এ শুভেচ্ছা জানান। বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, যদিও আমরা সবাই মাকে সবসময় ভালোবাসি, এরপরও প্রতি বছর এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় মায়ের বিশেষ মর্যাদা ও গুরুত্বের কথা। যে যাই বলুক না কেন, পৃথক মা দিবস পালনে মায়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এতে মাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও।

তারা বলেন, মাকে নিয়ে বিশ্বনবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘পৃথিবীতে সন্তানের উত্তম আচরণ ও শ্রদ্ধা পাওয়ার সবচেয়ে বেশি অধিকারী হচ্ছেন মা। এবং মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।’

নেতৃদ্বয় আরও বলেন, জন্মদাত্রী মাকে ঘিরেই আবর্তিত হয় পরিবারের সকল কার্যক্রম, পরিবারে মা হচ্ছেন এক অনন্য বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। মহীয়সী মায়ের তত্ত্বাবধানেই শিশুকাল থেকে ছেলেমেয়েরা সুসন্তান হিসেবে গড়ে ওঠে। আবহমান কাল ধরেই এই অমোঘ ধারা চলে আসছে। নম্রতা, বিনয়, সৌজন্য, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা হচ্ছে সুমাতার চিরকালীন বৈশিষ্ট্য। সন্তানদের সুশৃঙ্খল, শিষ্ট ও সর্বক্ষেত্রে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠার পেছনে থাকে একমাত্র মায়েদের অকান্ত অবদান। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক বিকাশ এবং অগ্রসর সমাজ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে একমাত্র হাতিয়ারই হচ্ছে শিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত মায়েদের ভূমিকা।

তারা বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দায়িত্বশীল, শিক্ষায় আলোকিত মায়েদের সুসন্তানরাই দীর্ঘ দিনের অচলায়তন ভেঙে সামাজিক অগ্রগতি তরান্বিত করবে এবং জাতীয় উন্নয়নকে করবে বেগবান। আজকের দিনে আমাদের প্রত্যাশা সকল মা যেন তার সন্তানদের যোগ্য ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন।

নেতৃদ্বয় আন্তর্জাতিক মা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং সব মায়ের অধিকার ও যথাযথ মর্যাদা তাদের সন্তানেরা সমুন্নত রাখুক এই কামনা করেন।

কেএইচ/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।