খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পিএম, ১১ মে ২০১৯

দেশে খাদ্য পণ্য যা’ই বাজারে আসছে তাতেই নকল ও ভেজালের ছড়াছড়ি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি -বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। তারা বলেন, নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যে ভেজাল, মাছ-মাংসে বিভিন্ন ক্যামিকেল ও ফরমালিন মিশ্রণ, ক্যামিকেল দিয়ে ফলমূল পাকানোসহ মানব বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড চলমান থাকলেও সমাজের একটি বড় অংশ এখানে নীরব।

শনিবার (১১ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন। তারা বলেন, খাদ্যে ভেজালের কারণে অকালে ক্যান্সার, ডায়বেটিক, কিডনী বিকল, স্থুল স্বাস্থ্য, হৃদরোগ, মূত্রনালী ও পাকস্থলীর পীড়াসহ নানা রকমের মানব ঘাতক রোগে পুরো জাতি যেন রোগাক্রান্ত। আর জাঙ্ক ফুডের নামে নানা রকম ফাস্ট ফুডের কারণে মেধাহীন আগামী প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরও বলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার বদলৌতে নকল ও ভেজালের সমস্ত খবর সর্বত্র পৌঁছে যাচ্ছে। তবে খাদ্যে ভেজালকারী ও অসাধু ব্যবসায়ীরা যেভাবে সংগঠিত ও শক্তিশালী সিন্ডিকেট সেভাবে ভোক্তারা সংগঠিত নয়, ফলে এ সমস্ত ব্যবসায়ীরা মানুষকে জিম্মি করে জনগণের পকেট কাটছে। এখন সময় এসেছে জেগে ওঠার এবং তৃণমূল পর্যায়সহ সকল স্তরে অনিরাপদ খাদ্য, ফাস্ট ফুডের নামে জাঙ্ক ফুড, নকল, খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে কঠিন সামাজিক প্রতিরোধ ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশে পণ্যে ভেজাল মিশ্রণের অন্যতম প্রধান কারণ হলো অতি মুনাফা অর্জন করার মানসিকতা। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংস্কৃতি নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ।এর বিরূপ প্রভাব জনজীবনের সর্বস্তরেই পড়েছে। ফলে খাদ্য ও পণ্যদ্রব্যে যে বিষ ঢালাওভাবে মেশানো হচ্ছে এবং তা বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ খুবই ক্ষীণ - বলেন তারা।

ন্যাপ চেয়ারম্যান ও মহাসচিব বলেন, ভেজালকারীদের মাঝে মধ্যে জরিমানা হয়, কিন্তু তা গুরু পাপে লঘু দণ্ড হওয়ায় একই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সাজা পেয়েও আবার ভেজালকর্মে লিপ্ত হয়। এ সম্পর্কিত কঠিন আইন বাস্তবে প্রয়োগের উদ্যোগ নিতে পারে সরকারই।

কেএইচ/আরএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।