আ.লীগ থেকে গণফোরামে এসে সম্পাদক হলেন রেজা কিবরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৯ পিএম, ০৫ মে ২০১৯

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক হলেন আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে ড. রেজা কিবরিয়া। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলের কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী।

রেজা কিবরিয়া ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বরে গণফোরামে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছিলেন। যোগদানের পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজনীতিক জীবনের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক মাইলফলক স্পর্শ করলেন তিনি।

দায়িত্ব পেয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, আমি ড. কামাল স্যারের নেতৃত্বে খুবই খুশি ও কৃতজ্ঞ। দায়িত্ব নিয়েই আমি সবার জন্য কাজ করব। তাদের নিয়ে কাজ করব যাদের নিয়ে কেউ করবে না।

রেজা কিবরিয়ার বাবা আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী শাহ এএসএম কিবরিয়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে হবিগঞ্জে বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। এ ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলায় বিএনপির একাধিক নেতা আসামি।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়ে সেই বিএনপির প্রতীক নিয়ে রেজা কিবরিয়া যখন নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তখন তা সবাইকে অবাক করে। আলোচনার ঝড় ওঠে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। তবে রেজা কিবরিয়া বলেছিলেন, বাবার হত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ থেকে তিনি জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন।

রেজা কিবরিয়া ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী ছিলেন। এমনকি গত ২৬ ডিসেম্বর আসামি গ্রেফতারে রেজা কিবরিয়ার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে গ্রামবাসীর তাড়া খায়।

এর ফলে নিজের পক্ষে মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে বলে আরও আশাবাদী হয়ে ওঠেন রেজা কিবরিয়া। তবে শেষপর্যন্ত পেরে ওঠেননি তিনি। তবে দলের সভাসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে তার মতামত নিতেন ড. কামাল। গণফোরামের কাউন্সিলেও তাকে স্টেজে বসার সুযোগ দেয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে গণফোরামের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির সভাপতি হিসেবে স্বপদে বহাল আছেন ড. কামাল হোসেন। কমিটিতে গণফোরামের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টুকে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

এআর/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।