গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে : মোস্তফা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৩৬ পিএম, ০৩ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজও মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশের গণমাধ্যম আজও মুক্ত নয়। শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষুর কাছে গণমাধ্যমকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী মুখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বললেও প্রকৃত অর্থে তারাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বার বার পদদলিত করছে। শাসকগোষ্ঠী সব সময়ই নিজেদের স্বার্থে গণমাধ্যমকেই টার্গেট করে।

শুক্রবার (৩ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বহুবার গণমাধ্যম শাসকগোষ্ঠীর আক্রমণের শিকার হয়েছে। সরকারের সমালোচনা করায় এবং বিরোধী সংবাদ পরিবেশনের কারণে এই সরকারের আমলে টিভি চ্যানেল বন্ধ হয়েছে, সম্পাদক-পরিচালক কারাবন্দি হয়েছেন, জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সরকারি দলের সিনিয়র সদস্যদের চরম সমালোচনার শিকার হয়েছে সংবাদপত্র, সম্পাদক ও সাংবাদিকরা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন ইতিহাসের সবচাইতে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। নগ্ন থাবায় সংবাদমাধ্যম পুরোপুরি শৃঙ্খলিত। সবাইকে মনে রাখতে হবে গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না, তেমনই মুক্ত গণমাধ্যম ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না।

বাংলাদেশ ন্যাপের ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ন্যাপের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব মো. নুরুল আমান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, মহিলা সম্পাদিকা সুমি আক্তার শিল্পী, সহ-সম্পাদক সাদিয়া ইসলাম ইমন, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু, যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী প্রমুখ।

কেএইচ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।