বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকের বড়ই অভাব : মালয়েশিয়া আ.লীগ


প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

`সত্যিকারের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকের বড়ই অভাব। সবাই অওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এক আলোক বর্তিকা। তিনি না থাকলে আমরা আজও স্বাধীন হতে পারতাম না। তার নেতৃত্বের কারণেই আজ আমরা স্বাধীন ভূ-খন্ড পেয়েছি। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামক দেশের নাম গৌরবের সঙ্গে স্থান করে নিয়েছে।`

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের বৃহদাংশ শোকাহত আগস্ট শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। বুধবার রাতে রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিতবিনতাং রশনা বিলাস রেষ্টুরেন্টে এ মতবিনিময় সভা অনষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তরা আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দল বা গোষ্ঠীর নয়। তিনি সবার, সব বাংলাদেশির। বঙ্গবন্ধুকে হয়তো আমরা তার যথাযথ সন্মান দিতে পারি নাই। কিন্তু বিশ্ব জানে, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজ পতাকার ভূ-খন্ড।

মতবিনিময় সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের একাংশের নেতৃবৃন্দ সে দেশের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান কামাল বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের অধিকারীকে মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের হাল ধরতে হবে। যোগ্য ব্যক্তি ছাড়া কমিটি দিলে প্রতিহত করা হবে। এখন যদি কমিটি হয় তাহলে আমার নেতৃত্বে ও কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের অনুমতি ক্রমেই মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের কমিটি হবে।

মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের একাংশের সাবেক সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আহ্বায়ক কমিটিকে দলের অনেক ত্যাগি নেতারা মেনে নিতে পারেননি। যদি নেত্রীর নির্দেশে হতো তাহলে তারা বিবেচনা করতেন।

এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার চার দিন পর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন মকবুল হোসেন মুকুল। পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ভেঙ্গে সাবেক সহ সভাপতি মকবুল হোসেন মুকুলকে আহ্বায়ক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

প্রবাসী রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মালয়েশিয়া আওয়ামী লীগের ঠান্ডা অন্তর্দ্বন্দের কারণে নতুন মেরুকরণের সৃষ্টি হয়েছিল। যা গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আশা করেছিলেন দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ, যোগ্য, সৎ, ত্যাগি ও পরিক্ষিত নেতাদের হাতে নতুন কমিটির নেতৃত্ব তুলে দেয়া উচিত।

অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মনিরুজ্জামান মনির, মালয়েশিয়া জাতীয় পার্টির সভাপতি এস এম রহমান পারভেজ, কবির মিয়া, যুবলীগের আহ্বায়ক তাজকির আহমেদ, শ্রমিক লীগের যুগ্ন আহ্বায়ক মো. শাহ আলম হাওলাদার, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বি এম বাবুল হাসান-সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মলীগ ও ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।

আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।