দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে শপথ নেননি ফখরুল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৯

দলীয় কৌশলের অংশ হিসেবে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেননি বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়াজ নামের একটি মানবাধিকার সংগঠন আয়োজিত ‘উন্নয়নের মৃত্যুকূপে জনজীবন/নুসরাত একটি প্রতিবাদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শপথ নেয়ার জন্য সংসদে কোনো চিঠি দেননি জানিয়ে ফখরুল বলেন, শপথ নেয়ার বিষয়ে আমি কোনো চিঠি দেইনি। স্পিকারের কাছে কোনো সময় চাইনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য কিছু কিছু পত্রিকা লিখেছে, আমি শপথের জন্য সময় চেয়েছি। আমার কাছে এক পত্রিকার সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেছেন, আমি না বলেছি। তারপরও তো আজকে পত্রিকায় লিখেছেন যে, আমার শপথের সম্ভাবনা রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যে শপথ নিয়েছি এজন্য অনেকে অনেক মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সময়ই প্রমাণ করবে শপথ নেয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত কি-না। আগে আমরা শপথ নেইনি তার মানে এখন নেব না তাতো হতে পারে না। আজকে যে শপথ নিয়েছি সেটা ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করার জন্যই নিয়েছি।

তিনি বলেন, সবাই শপথ নিয়েছে কিন্তু আমি শপথ নেইনি, এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু হয়নি।

সরকারের সঙ্গে কোনো সমঝোতা হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সমঝোতা করলে অনেক আগেই তিনি এদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। আমরা কোনো বিদেশির পরামর্শে কিছু করিনি। আমরা চলমান রাজনীতি দেখছি। কথা বলার ন্যূনতম যে সুযোগ সেটা কাজে লাগাতে। দানবকে পরাজিত করার জন্য শপথ নিয়েছি।

তিনি বলেন, গতকাল থেকে রাজনীতি গরম হয়ে গেছে। এটা নিঃসন্দেহ চমকের মতো সংবাদ, ইউটার্ন মনে করতে পারেন। আমাদের সিদ্ধান্ত অন্যরকম ছিল। ৩০ ডিসেম্বর কোনো নির্বাচন হয়নি, প্রহসন হয়েছে। একটি কথা যেটা আমরা বিশ্বাস করি, কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত থাকবে সেটি সঠিক নয়। খুব খারাপ সিদ্ধান্ত বলে মনে করি না। সময়ের প্রয়োজনে অনেক কিছু হয়। সময় ঠিক করে দেবে আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল না সঠিক।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে একদলীয় শাসন রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তম্ভকে দলীয়করণ করা হয়েছে। প্রশাসন, জুডিসিয়াল, গণমাধ্যম বাংলাদেশ গভীর সঙ্কটে পড়েছে। এটা শুধু বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের সংকট নয়, গোটা জাতির সংকট।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আসলে এতো বেশি প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয় যে, বাংলাদেশ বড় উন্নয়নের জায়গায় চলে গেছে। কোথায় উন্নয়ন হচ্ছে? উন্নয়নের নামে প্রহসন চলছে। উন্নয়নের দুর্নীতি চলছে, লুটপাট চলছে। ব্যাংকিং খাতকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশটা একটা মৃত্যুকূপে পড়েছে। গণতন্ত্র না থাকলে উন্নয়ন কখনও টেকসই হতে পারে না। জবাবদিহিতা না থাকলে টেকসই হতে পারে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহিদা রফিক, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বক্তব্য দেন।

কেএইচ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।