বিএনপি-জায়ামাত রাজনীতিতে ক্যান্সারের মতো : হানিফ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ২৯ এপ্রিল ২০১৯
ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘এরা রাজনীতিতে ক্যান্সারের মতো। এরা বাংলাদেশে থেকেও পাকিস্তানি রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী। তারা এখনও বাংলাদেশকে মানে না। বিএনপি-জামায়াতকে মোকাবেলা করার একমাত্র পথ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করা।’

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত খুলনা বিভাগের আওয়ামী লীগ নেতা, জাতীয় সংসদ সদস্য এবং জাতীয় কমিটির সদস্যদের সঙ্গে যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন।

হানিফ বলেন, পঁচাত্তর সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর তারা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তখন তারা সংঘটিত হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করেছে। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারী জিয়াউর রহমান প্রতিদিন রাতে কার্ফু দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। শত শত আর্মি অফিসারকে হত্যা করেছেন। খুনি, রাজাকার ও আল বদরদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। সেটাকে আবার বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্র বলে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সময় চল্লিশটি ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ অসংখ্য নিউজপেপার রয়েছে। তারা ইচ্ছে মতো সংবাদ প্রচার করছে। মানুষের কথা বলার অধিকার আছে। বিভিন্ন টকশোতে তারা খোলাখুলি তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারছে। এরপরও বিএনপি-জামায়াত বলছে, দেশে গণতন্ত্র নেই।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বাংলাদেশ এখন ইমাজিন টাইগার। বিশ্বের উন্নয়শীল ৫টি দেশের মধ্যে অন্যতম একটি দেশ। সারাদেশের মানুষ সচ্ছল জীবনযাপন করছে। মানুষের এখন আর অভাব-অভিযোগ নেই। যারা গরিব-দুস্থ তাদের বিভিন্নভাবে ভাতা দেয়া হচ্ছে।

বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘আপনি তো আপনার নিজ আসনে হেরেছেন। অন্য একটা স্থান (বগুড়া) থেকে আপনি নির্বাচিত হয়েছেন। বগুড়ার ভোটারদের মান-সম্মান ও অধিকার রক্ষার জন্য আপনি সংসদের যোগ দিন।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে দলের প্রধান একজন সন্ত্রাসী এবং কারাগারে দণ্ডিত আসামি তার অধীনে আপনাদের মতো শিক্ষিত লোকেরা কীভাবে রাজনীতি করেন তা বোধগম্য নয়।’

হানিফ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার আগে এবং পরে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে রাজনীতি করেছেন। বিভিন্ন নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। কারও বাড়িতে থেকেছেন, খেয়েছেন। এসব বিষয়ে কারও সঙ্গে যদি কোনো স্মৃতি থাকে, কারও সঙ্গে যদি কোনো ছবি থাকে তাহলে সেগুলো কেন্দ্রে সংরক্ষণের জন্য জমা দেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

এছাড়া তার (বঙ্গবন্ধু) সঙ্গে কোনো ব্যক্তির স্মৃতি থাকলে ভিডিওর মাধ্যমে তা সংরক্ষণ করে কেন্দ্রে জমা দেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী সফলভাবে পালন জন্য এসব তথ্য এবং ডাটাবেজ করার জন্য জেলা নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন হানিফ।

এফএইচএস/এমবিআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।