নৈতিক দায় থেকেই বিএনপির উচিৎ সংসদে আসা
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, বিএনপি থেকে নির্বাচিতদের জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে নৈতিক দায় থেকে সংসদে আসা উচিৎ। সংসদে না আসলে জনগণ আর কোনো দিন তাদের ভোট দেবে না।
শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৪ জন মহিলা সংসদ সদস্যের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
হানিফ বলেন, বিএনপি শপথ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা নির্বাচিত হয়েছে তাদের শপথ নেয়া উচিৎ। বাকিরা ৩০ তারিখের মধ্যেই শপথ নিয়ে জনগণের রায়কে সম্মান করবেন বলে আশা করছি। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল সাহেব কথায় কথায় গণতন্ত্রের কথা বলেন, অথচ সংসদে আসতে চান না। শপথ না নিলে মানুষ আর ভোট দেবে না। অপকর্ম করলে মানুষ ভোট দেবে কেন?
আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বলেন, ধর্মের নামে জঙ্গিবাদ মানব বা সমাজকল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যারা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত তারা মানবতার শত্রু, দেশের শত্রু, জাতির শত্রু। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বাংলাদেশে জঙ্গি-সন্ত্রাসী হামলার পেছনে তারেক রহমানের যোগসাজশ রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করেছে। দেশে-বিদেশে এমন কোনো অপরাধ নেই যা তারেক রহমান করেননি।
তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান অপরাধ করে দেশ ও তার পরিবারের বদনাম করেছেন। বেগম জিয়া তার পুত্রদের ভালো সন্তান হিসেবে গড়ে তুলতে পারেননি। তিনি (খালেদা জিয়া) মা ও প্রধানমন্ত্রী উভয় ক্ষেত্রেই ব্যর্থ খালেদা।
মোবাইল, ফেসবুকের অপব্যবহার বিষয়ে মায়েদের সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে হানিফ বলেন, ফেসবুকের কারণে সবচেয়ে বেশি বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। এর কারণে দাম্পত্য জীবনেও সমস্যা হচ্ছে। পারিবারিক বিশ্বাস ভঙ্গ হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ২০১৭ সালে ৯০ ভাগ বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ফেসবুকের কারণে। ছেলেমেয়েরা সার্বক্ষণিক ফেসবুকে থাকছে। অভিভাবকদের এদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। অভিভাবকদের লক্ষ্য রাখতে হবে তাদের সন্তানরা কী করে কোথায় যায়।
ঢাকা মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেরা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান হিসেবে বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়া খাতুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মহিলা সংসদ সদস্য ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা, নার্গিস রহমান, শবনম শিলা, জিন্নাতুল বাকিয়াকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
এইউএ/এমএসএইচ/এমএস