‘খালেদা জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে আসেন নাই’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৪০ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পেছনের দরজা দিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন নাই। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তিনি সম্মুখ দরজা দিয়ে রাজনীতিতে এসেছেন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে শত নাগরিক কমিটির আয়োজনে খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারেরর লেখা ‘খালেদা জিয়া- তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি একথা বলেন।

খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে পদার্পণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে মঈন খান বলেন, আপনাদের মনে আছে, তখন এই দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল মিলে সংগ্রামে নেমেছিল। সেসময় দেশনেত্রী ছিলেন অবিচল। ’৮৬-র নির্বাচন যখন এল। তিনি বললেন- এই স্বৈরাচারী সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। তখন অপর একটি রাজনৈতিক দল বিশ্বাসঘাতকতা করে তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপোষ করে তারা নির্বাচনে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, অনেকে সমালোচনা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত ভুল ছিল না। সেটা প্রমাণিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। বাংলাদেশের জনগণ তাদের উপহার হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। তাকে মাথায় তুলে নিয়েছিলেন গণতন্ত্রের সৈনিক হিসেবে। আপোষহীন নেত্রী হিসেবে। এই আপষহীন চরিত্র আজ পর্যন্ত তার মধ্যে আমরা দেখেছি। দেখছি, দেখব।

শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, গয়েশ্বর রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।

এছাড়া বইটির অপর লেখক কবি আব্দুল হাই শিকদার এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমবিআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।