খালেদা নির্ভীক, সৎ ও সাহসী লোক তৈরি করতে পারেননি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, খালেদা জিয়া দলে নির্ভীক, সৎ ও সাহসী লোক তৈরি করতে পারেননি।
খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ‘খালেদা জিয়া-তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে এ কথা বলেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে শত নাগরিক কমিটি।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সার্থকতা সফলতার শেষ নেই। তার জীবনে একটি করুন ব্যর্থতা আছে। যেটি ১৯৮৮ সালে তাকে আমি বলেছিলাম। আমি বলেছিলাম ম্যাডাম আপনি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সারাদেশের বাংলাদেশের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাদের আস্থা অর্জন করেছেন আর নিকট ভবিষ্যতে এই আস্থা সীমান্ত ছাড়িয়ে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে পৌঁছে যাবে। তারপরও একটা করুন ব্যর্থতা আছে।
তখন তিনি (খালেদা) রাগত স্বরে বললেন, কিসের ব্যর্থতা? আমি বললাম রাগ করলে বলা যাবে না। আমি যা বুঝি, তা আপনাদের শুনতে হবে। আমি তাকে বললাম, আপনি অনেক কিছু জয় করলেন। কিন্তু আপনি দলে নির্ভীক, সৎ ও সাহসী লোক তৈরি করতে পারেননি।
তিনি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে কপালে একটি আঙ্গুল দিয়ে বললেন, যা আছে তাই নিয়ে চলতে হবে।
গয়েশ্বর বলেন, দল সিদ্ধান্ত না নিলে কেউ পার্লামেন্টে যাবে না। কিন্তু যারা পার্লামেন্টে নির্বাচিত হয়েছেন তারা কেন প্রতিবাদ করতে পারেন না, আমরা পার্লামেন্টের যাবো না যতক্ষণ না পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে মুক্ত না দেখতে পাই। পার্লামেন্টে তখন যাব খালেদা জিয়া মুক্ত হলে, দল যদি সিদ্ধান্ত দেয় তখন আমরা এটা বিবেচনা করব। এই কথাগুলো শুনতে চেয়েছিলাম কিন্তু তা শুনছি না।
তিনি আরও বলেন, অলি-গলির অনেক গুজব শোনা যায়। অনেক সময় গুজব সত্যি হয়। আমরা বিভ্রান্ত হতে চাই না। খালেদা জিয়ার পরিবারের দুই একজন ব্যক্তি নেই যে তাকে আমরা আলাদা করে দেখব। খালেদা জিয়ার পরিবারের ১৮ কোটি মানুষ সিদ্ধান্ত দেবে।
শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ-এর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড.আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব,যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ।
কেএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ