শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না : মওদুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৯

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত ৬ সংসদ সদস্যের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সংসদে যাওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা নয়। আর নির্বাচিতদের শপথ নেয়ার তো প্রশ্নই আসে না। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্মতিক্রমে আমরা স্থায়ী কমিটির সদস্যরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসা যাবে না। বিষয়টি এখানেই নিষ্পত্তি হওয়ার প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ ও কবি আবদুল হাই শিকদারের লেখা ‘খালেদা জিয়া : তৃতীয় বিশ্বের কণ্ঠস্বর’ শীর্ষক বইটির প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। শত নাগরিক কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বিএনপির ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সীমাহীন নির্যাতন বিএনপিকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে মন্তব্য করে দলটির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের নির্যাতনের কারণে বিএনপি আগামী একশ বছর রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে থাকবে। আওয়ামী লীগেরর এ সীমাহীন অত্যাচার আর নির্যাতন বিএনপিকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে।

মওদুদ বলেন, রাজনৈতিক কারণে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বেগম জিয়া আজ কারারুদ্ধ। সরকারের ইচ্ছা থাকলে তিনি আরও আগেই মুক্তি পেতেন। তার সবগুলো মামলা জামিন যোগ্য হলেও আমরা তাকে মুক্ত করতে পারছি না। তারপরও বলতে চাই, তিনি যত দ্রুত ফিরে আসবেন ততই আমাদের মঙ্গল। তার ফিরে আসার মানেই হলো, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসা।

প্রকাশনা উৎসবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বইয়ের লেখক অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ও কবি আব্দুল হাই শিকদার উপস্থিত ছিলেন।

কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।