মুজিবনগর বাংলাদেশের স্বাধীনতার অংশ : বাংলাদেশ ন্যাপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০৭ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতার অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এ কথা বলেন।

তারা বলেন, ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী সরকারের শপথ গ্রহণের দিন। কোনো স্বাভাবিক সময়ে সরকার গঠনের পর পরই সরকার প্রধান এবং মন্ত্রিপরিষদ শপথ গ্রহণ করে থাকে। তারপরই দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ে কাজ শুরু করেন মন্ত্রীরা। কিন্তু ১৯৭১ সালে পরিস্থিতি মোটেও সেই সরকারের অনুকূলে ছিল না।

তারা আরও বলেন, ২৫ মার্চ গভীর রাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অতর্কিত হামলা শুরু করলে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। পাকিস্তান বাহিনী দেশব্যাপী তাদের বাঙালি নিধন অভিযান শুরু করলে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে রায় পাওয়া দল হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের উদ্যোগ নেয়। ১০ এপ্রিল গঠিত হয় মুক্তিযুদ্ধের সরকার। সেই সরকারই ১৭ এপ্রিল শপথ নেয়। এসব ঘটনা তিলে তিলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নির্মাণ করেছে, সফল করেছে, বিজয়ের চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে গেছে।

তারা বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধকে সফল করার দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে যে সরকার ১০ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেছিল তারা বাংলাদেশ ভূখন্ডেই তাদের শপথ নেয়ার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে একদিকে আপামর জনগণের মনে অসীম সাহসের সঞ্চার করেছিল, অন্যদিকে গোটা বিশ্ববাসীকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক যাত্রাকে প্রদর্শন করেছে, নিজেদের মেধা, যোগ্যতা এবং লক্ষ্য বাস্তবায়নে আপোসহীন লড়াই ও যুদ্ধ পরিচালনার অদম্য স্পৃহার বিপ্লবাত্মক দৃশ্য উপস্থাপন করেছে।

তারা বলেন, সরকার শুরুতেই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে, শপথ গ্রহণের পূর্ণাঙ্গ অনুষ্ঠান শেষে বীরদর্পে স্থান ত্যাগ করেছে, যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ শপথ স্থানটিকে মুজিবনগর নামকরণ করে গেলেন- যা মুক্তিযুদ্ধের সরকারের পরিচয় এবং চেতনার উৎসকে জানান দিয়ে গেছে। বিপ্লবাত্মক কোনো যুদ্ধকালে নেতৃত্ব এ ধরনের অবাক বিস্ময় সৃষ্টির কাজ করেই অগ্রসর হন- যা দেখে জনগণ উদ্বুদ্ধ হয়, জনসমর্থন স্পষ্ট হয়, দেশি-বিদেশি বিরোধী অপশক্তি পর্যুদস্ত হয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১৭ এপ্রিল বৈদ্যনাথতলায় আকস্মিকভাবে রণসজ্জায় সজ্জিত সরকারের শপথ গ্রহণ মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের ইতিহাসে অন্যতম মহিমান্বিত রোমাঞ্চিত হওয়ার ঘটনা এবং অধ্যায়। কেবল এমন বুদ্ধিদীপ্ত এবং সাহসী নেতৃত্বই রণাঙ্গণকে জয় করতে পারে। একই সঙ্গে মুজিবনগর সরকার পরিচয় নিয়ে গোটো মুক্তিযুদ্ধকে দেশে-বিদেশে নেতৃত্ব দেয়া দূরদর্শিতার পরিচয় বহন করেছে।

কেএইচ/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।