খালেদা জিয়া প্যারোলের কোনো সিদ্ধান্ত দেননি : ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত কয়েক দিন যাবত যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে তা ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই দেশনেত্রী প্যারোলের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেননি। গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়টা নিয়ে পত্রিকায় আলোচনা হচ্ছে। আজকে একটি ইংরেজি পত্রিকা প্যারোলের দিন, তারিখ দিয়ে ছেপেছে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আমি বলছি এটা বেজলেস। এ সময় তিনি হলুদ সাংবাদিকতা পরিহারের আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সুপরিকল্পিতভাবে একটা শ্রেণি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে, যারা শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছেমতো সমাজ নির্মাণে সহায়তা করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে এমন একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে করে অনেক জনপ্রিয় লোক টকশোতে আসছেন না। সত্য কথাগুলো নিয়ে জনগণের কাছে যাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কারণ যারা গণমাধ্যমে কাজ করেন নির্বাচনের পর তাদের বেশ কয়েকজনের চাকরি চলে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সাংবাদিকদের একটি শ্রেণি ভালো আছে, তবে বেশিরভাগেরই চাকরি নেই।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সর্বত্র অরাজকতা চলছে, দেশে কোনো প্রকার জবাবদিহিতা নেই।
ভূ-রাজনীতির কারণে উদার রাজনীতির দর্শন পরাজিত হচ্ছে মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, সেখানে ফ্যাসিবাদ জায়গা দখল করছে। রাজনীতি এমন কলুষিত হয়েছে যে সেখানে ভালো মানুষ টিকতে পারছে না।
নুসরাত হত্যাকাণ্ড ও সুবর্ণচরে গণধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এটা একক লড়াই নয়। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতার জন্য যেমন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছিলাম, তেমনি এখন স্বাধীনতা রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভূ-রাজনীতির পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনকে সামনে রেখেই আমাদের এগোতে হবে।
ডিইউজে সভাপতি আব্দুল কাদের গনি চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ ও আব্দুল হাই শিকদার প্রমুখ।
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর