খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৬ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৯

সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে রেখেও যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেয়া হয় তাহলে এ সরকারের বিজয়ের কোনো সম্ভাবনা নাই।

খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে তিনি বলেন, মানুষ বন্দি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য বিএনপিকে ভোট দেবে।

মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

শ্রমিক দলের সাবেক নেতা আবুল কাশেম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী দুলাল ও মোহাম্মদ উল্লাহ ভূঁইয়ার স্মরণে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা দেখতে চাই দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করুক। কারও সমর্থন যদি বেশি হয়, তারা নির্বাচনে জিতবে, ক্ষমতায় যাবে। আমরা বিরোধী দলে থাকব, কোনো সন্দেহ নাই। কিন্তু ভোটের আগের রাতে বাক্স ভর্তি করে আপনি জিতে যাবেন, আর বলবেন, আপনার জনপ্রিয়তা বেশি; এটা দেশের কোনো লোক বিশ্বাস করে না, করবেও না।

বিএনপির এ নীতিনির্ধারক বলেন, সবচেয়ে ক্ষতি করা হচ্ছে ভোটাররা যখন ভোট কেন্দ্রে যায় এবং তাদের বলা হয়, আপনার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। আবার ব্যালট পেপার নাই তারপর আঙ্গুলে কালি দিয়ে বলা হয়, আপনি চলে যান। এতে ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। এর একটি প্রমাণ হলো, উপজেলা নির্বাচন। অনেক কেন্দ্র আছে যেখানে কোনো ভোটার যায় নাই। কোনো কোনো কেন্দ্রে দুজন, তিনজন, পাঁচজন এবং ১০ জন ভোটার গেছে। এই যে ভোটের প্রতি মানুষের অনীহা সৃষ্টি করা, এটা হলো গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে চক্রান্ত। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চক্রান্ত।

তিনি বলেন, নির্বাচন না থাকলে গণতন্ত্র থাকে না। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার রায় দেয়। আর জনগণের রায়ে যারা দায়িত্ব নেয়, তারা হলো গণতান্ত্রিক সরকার। কাজেই আমাদের দেশে এখন গণতান্ত্রিক সরকার নাই। নোঙরা কৌশল তো তারা করবেই। কারণ, ভালো কোনো কৌশলে বিজয়ের সামর্থ্য তাদের নেই।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাকে মায়ের মর্যাদা দিয়েছেন সেই বেগম খালেদা জিয়া কারারুদ্ধ। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক- এটা তার প্রাপ্য। একজন মানুষ হিসেবে, একজন নেত্রী হিসেবে এটা তার প্রাপ্য। তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটা তার প্রাপ্য। একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রীর হিসেবে তার প্রাপ্য।

সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, অবিলম্বে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক। তিনি যেখানে চিকিৎসা করতে চান সেখানে সুযোগ করে দেয়া হোক।

বেগম জিয়ার গৃহকর্মী ফাতেমাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে- অভিযোগ করে সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘একটি টিভি চ্যানেলে ম্যাডামের সঙ্গে যে মেয়েটি থেকে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করছে তার বাবাকে দিয়ে একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করেছে। চ্যানেলটি আমরা চিনি। তাদের প্রতিদিনের খবর দেখলে আপনারা বুঝবেন, তারা কার জন্য কাজ করে। এ কাজ তো তারা তাদের জন্যই করেছে। আমি সাথে সাথে দলের মহাসচিবকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, একটা ব্যাপার শোনা গেল, এটা কী? মহাসচিব বললেন, ১০০ ভাগ মিথ্যা একটা রিপোর্ট। সম্ভবত বেচারা গরিব মানুষ, তাকে ম্যানেজ করে রিপোর্টটা চালানো হয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগে তাকে তার প্রাপ্য টাকা দেয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আয়োজনে স্মরণসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।

কেএইচ/এমএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।