বিএনপি এখন বাকশাল আতঙ্কে : নাসিম

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ৩০ মার্চ ২০১৯

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি এখন বাকশাল আতঙ্কে রয়েছে।

তিনি বলেন, বাকশাল একটি দর্শন। সেই দর্শনের কথাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেছেন। কিন্তু বাকশাল পুনঃপ্রতিষ্ঠার কথা কেউ বলেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করেছেন। বাকশাল প্রতিষ্ঠার কোনো বাস্তবতা এখন আর নেই। অথচ বিএনপি বাকশাল ইস্যু নিয়ে ব্যস্ত।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা : ধর্মনিরপেক্ষতার সংকট ও সম্ভবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক কামাল লোহানী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, জাসদ সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ঢাবি অধ্যাপক এমএম আকাশ, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের এনামুল হক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাসদের রেজাউর রশীদ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ওয়ার্কার্স পার্টির সেক্রেটারি ফজলে হোসেন বাদশা।

নাসিম বলেন, উদার গণতন্ত্র এবং সুশাসন-অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দুটি একসঙ্গে চাইলেই হবে না। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কিছু ক্ষেত্রে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে।

তিনি বলেন, আমি মন্ত্রী ছিলাম জানি, যখনই কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম, তখন হাইকোর্ট ওই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দিত। অনেক মানহীন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ভেজাল ওষুধের কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু উচ্চতর আদালতের নির্দেশে বন্ধের আদেশ স্থগিত হয়ে যায়। এতে অনিয়মকারীরা উৎসাহিত হয়।

তিনি বলেন, দেশে আমাদের চেয়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি আর কেউ করে না। ধর্মীয় অপপ্রচার বিএনপি-জামায়াত কয়েক যুগ ধরে করেছে। গণতন্ত্রের কথা তাদের মুখে শোভা পায় না।

রাশেদ খান মেনন বলেন, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে জামায়াতের চিন্তার পরিবর্তন হয়নি। তারা আবার স্বরূপে ফিরে আসতে চাইছে। দুঃখের বিষয় তাদের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে।

মেনন বলেন, জামায়াত আবার ফিরে আসতে চাইছে। শুধু তাই নয়, তাদের জায়গা দখল করেছে হেফাজত। শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে তারা প্রভাব বিস্তার করছে। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র গড়তে সরকারকে এ দিকে নজর দিতে হবে।

ইনু বলেন, ড. কামাল হোসেনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা গণতন্ত্রের মুখোশ পরা নব্য রাজাকার। হেফাজতে ইসলামের কাছে সরকারের নতজানু আচরণ দুঃখজনক। পাঠ্যপুস্তকে তারা যেমন চাইছে সরকার তেমন পরিবর্তন আনছে। বিভিন্ন স্তরে হিজাব বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, সামাজিক পরিবেশ ধ্বংস করা হচ্ছে।

এফএইচএস/এইউএ/এএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।