শক্তিশালী হয়ে আন্দোলনের প্রস্তুতি : মান্না
প্রথমে দল এরপর জোটকে শক্তিশালী করে আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘চেতনা বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের বর্তমান নির্বাচন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বনানীর অগ্নিকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে মান্না বলেন, ওই বিল্ডিংয়ে যারা ছিলেন তারা মৃত্যুকূপে অবস্থান করছিলেন। এ দেশে মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। বাসের কন্ডাক্টর যাত্রীদের ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, আর ড্রাইভার তার ওপর চাকা তুলে দেয়।
তিনি বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে যত ড্রাইভার আছে তাদের অর্ধেকের ও লাইসেন্স নাই, বলবেন কাকে? লাইসেন্স ছাড়া তো সরকারই ক্ষমতা দখল করে আছে।
নির্বাচন ব্যবস্থার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা শেষ হয়ে গেছে, বিশেষ করে ২৯ ডিসেম্বরে রাতে। সেদিন কি হয়েছে এটা সারা দেশের মানুষ জানে। যারা ক্ষমতায় আছেন তারাও জানেন।
মান্না বলেন, ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনের পর মানুষ বলেছিল বিএনপি আসেনি কী করব। কিন্তু এবার সবাই নির্বাচন আসার পরে রাতের বেলা যে ভোট ডাকাতি হলো; এজন্য মানুষ এর প্রতিবাদ করছে। মানুষ ভোট দিতে যায় না এতেই বোঝা যায় তারা এই সরকারকে চায় না।
দেশের বৈষম্যমূলক পরিস্থিতি তুলে ধরে মান্না বলেন, একদিকে মানুষ মারা যায়, অন্যদিকে বিলাসের অট্টালিকা গড়ে। ঢাকা শহরের বড় বড় বাড়িগুলোর দিকে তাকালে চোখ জুড়িয়ে যায়। কিন্তু অপরদিকে মানুষের যে কষ্ট সেগুলো তারা বলে না।
তিনি বলেন, আমি কি দুঃখে আছি নাকি সুখে আছি? সুখী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশ আরও ১০ ভাগ নিচে নেমে গেল।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও দোহার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা রহিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহাবুব হোসেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, বগুড়া-৪ আসনের এমপি আলহাজ মোশাররফ হোসেন, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ নেছারুল হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর