ভোটারদের অনীহা রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি : মোস্তফা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৮ পিএম, ২৩ মার্চ ২০১৯

‘নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের আর আগ্রহ নেই’ এ বিষয়টি চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আশঙ্কাজনকভাবে ভোটার উপস্থিতি হ্রাস পাওয়ার ঘটনায় প্রমাণিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব ও যুক্তফ্রন্টের শীর্ষনেতা এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্রে গিয়েও যখন জনগণের রায় প্রতিষ্ঠিত হয় না, তখন জনগণ ক্রমান্বয়ে ভোটবিমুখ হয়ে পড়ছে, যা স্বাধীনতার চেতনাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি প্রমাণ করছে আসলে চলমান উপজেলা নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হচ্ছে না। জাতীয় নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলেও বিতর্কের ঊর্ধ্বে ছিল না। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনে তাও হচ্ছে না। সব রাজনৈতিক দল অংশ নিচ্ছে না। সরকারি দলের নেতারাই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে না, কেন ভোট দেয়ার প্রতি তাদের আগ্রহ নেই? ভোটাররা যদি ভোট না দেন রাষ্ট্র ও গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে।

শনিবার নয়াপল্টনে যাদু মিয়া মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও ২৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠদিবস স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগণকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন মাওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে স্বাধীনতার চূড়ান্ত ডাক দেয়ার আহ্বান জানান ভাসানী। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে ভাসানীর পক্ষে তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। আজ ইতিহাস থেকে সেই ঘটনাও মুছে ফেলা হয়েছে। যা কখনোই শুভ লক্ষণ নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা দলের একক অবদান দাবি করে প্রকারান্তরে যারা ইতিহাস বিকৃতি করছে ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। জাতি হিসেবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা।

ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টি মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্ট সভাপতি মো. আবু আহাদ আল মামুন (দীপু মীর), ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, মহিলা সম্পাদিকা সুমি আক্তার শিল্পী, যুব ন্যাপ সমন্বয়কারী বাহাদুর শামিম আহমেদ পিন্টু প্রমুখ।

কেএইচ/বিএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।