সুখী দেশের তালিকায় দেশ নিচে নামল কেন, প্রশ্ন মঈনের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, সারা বিশ্বে সুখী দেশগুলোর তালিকা করে গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। বলতে লজ্জা হয়, বাংলাদেশ সুখী দেশগুলো যে অবস্থানে ছিল সেখান থেকে ১০ ধাপ নিচে নেমে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার সব সময় বলছে, বাংলাদেশ নাকি বিশ্বের রোল মডেল। তাহলে সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১০ ধাপ নিচে নামল কেন? এর জবাব সরকারকে দিতে হবে, ধোঁকাবাজি দিয়ে চিরদিন টিকে থাকা যায় না।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আজকে প্রমাণিত হয়েছে, এই সরকার জনগণের ওপর অলিখিত বাকশাল তৈরি করে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু তারা চিরদিন এটা করতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকামী। তারা এর প্রতিবাদ করবে।
তিনি বলেন , বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে দেশে পুনরায় তার নেতৃত্বেই বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই গণতন্ত্র হবে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সে গণতন্ত্র বাকশালী গণতন্ত্র নয়। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে এ দেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
মঈন খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দিন দেশে গণতন্ত্র চায়নি। তারা চেয়েছে একদলীয় শাসন। ১৯৭৫ সালে তারা বাকশাল কায়েম করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সেটা গ্রহণ করেনি। একদলীয় শাসনের জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আজকে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। দরিদ্র জনগণের ট্যাক্সের টাকা লুটপাট করে বর্তমান সরকার মেগা প্রজেক্ট করছে। এতে লাভবান হচ্ছে সরকারের গুটিকয়েক পোষা লোকজন। কয়েকদিন আগে একটি কথা শুনেছি, বাকশালের মাধ্যমে নাকি গণতন্ত্র হয়। আমার প্রশ্ন, পৃথিবীতে যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বই লিখেছেন তারা কি সেই বই বাতিল করে নতুন করে বই লিখবেন যে, বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্র হয়।
মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, রোকেয়া চৌধুরী তামান্না, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শামছুন্নাহার প্রমুখ।
কেএইচ/এমএসএইচ/এমএস