প্রশ্নপত্রে ভুল : শিক্ষার্থীকে সরকারি মেডিকেলে ভর্তির নির্দেশ


প্রকাশিত: ১০:০২ এএম, ৩০ আগস্ট ২০১৫

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় সরকারি মেডিকেলে চান্স না পাওয়া এক শিক্ষারর্থীকে পুনরায় ভর্তি করানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বেসরকারি মেডেকেলে পড়তে যা খরচ হয়েছে তা পরিশোধেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

রোববার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন শিক্ষার্থীর বাবা আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

রায়ের পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় এক শিক্ষার্থী মেধা অনুযায়ী সরকারি মেডিকেলে চান্স পায়নি। পরে ওই শিক্ষার্থী প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিলো। এ জন্য তার যে পরিমাণ খরচ হয়েছিলো তা তৎকালীন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং পরিচালকের(হেলথ এন্ড মেডিকেল এডুকেশন) ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিতে হবে। এবং ওই শিক্ষার্থীকের গোপালগঞ্জের সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজে ভর্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, প্রশ্নপত্রে ভুল থাকায় আমার মেয়ে পরীক্ষায় পাস করতে পারেনি। পরে বেসরকারি ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে এ পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টাকা। তিনি আরো জানান, ২০১২-২০১৩ সেশনে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ৩৮টি ভুল ছিলো। ভুল প্রশ্নের বৈধতা নিয়ে ওই সময়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। প্রশ্নপত্রে ভুল না হলে আমার মেয়ে পরীক্ষায় পাস করতো। চলতি বছরের ৫ মার্চ প্রশ্নপত্রে সাতটি ভুল চিহ্নিত করে হাইকোর্ট আমার মেয়েকে একটি সরকারি মেডিকেলে ভর্তির নির্দেশ এবং বেসরকারি মেডিকেলে ভর্তিতে যে খরচ হয়েছে তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে যান রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার আপিল বিভাগ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

এফএইচ/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।