মানুষের জানমালের নিরাপত্তা কঠিন হুমকির মুখে : খালেদা


প্রকাশিত: ০৬:২৪ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০১৫

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে রাষ্ট্রে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আজ কঠিন হুমকির সম্মুখীন। তিনি বলেন, বিশেষ করে ভিন্নমতাবলম্বী রাজনীতিক নেতা-কর্মীরা বর্তমান অগণতান্ত্রিক-কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলে ব্যাপকভাবে গুমের শিকার হয়েছেন।

আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস (রোববার) উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন দলটির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

বিৃবতিতে খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ নির্বাচনের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমন করতে যেয়ে এ সরকারের আমলে শুধু আমাদের দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য, পৌর মেয়র, অসংখ্য ছাত্র-যুবকর্মী গুম-অপহরণের শিকার হয়েছেন। দেশে গুম-অপহরণ বন্ধে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন প্রতিষ্ঠা ও সব নাগরিকের নিরাপত্তার দাবি সরকার উপেক্ষা করে চলেছে।

খালেদা জিয়া বলেন, জাতিসংঘ গুমবিরোধী যে আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করেছে (ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনেস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স) তাতে ৪৩টি দেশ সনদটি গ্রহণ করেছে এবং ৯৩টি দেশ অনুস্বাক্ষর করা সত্ত্বেও বাংলাদেশ গুম হতে সকলের সুরক্ষা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক এই সনদটি গ্রহণও করেনি, এমনকি অনুস্বাক্ষর না করায় দেশ এখন গুম-অপহরণের চারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।

বিবৃততে আরো বলা হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে আইনকানুন-প্রশাসন এখন আর জবাবদিহির মধ্যে না থাকায় গুমের শিকার মানুষজনের পরিবারবর্গ আজ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত।

তিনি বলেন, আমরা জানি, গুম-আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন-২০০২ (রোম স্ট্যাটুট) এর অধীনেও অপরাধ। কোনো দেশে যদি এই রোম স্ট্যাটুটের অধীন অপরাধের বিচার না হয়, তাহলে রোমে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তার বিচারের ব্যবস্থা করতে পারবেন।

গুম-অপহরণ বন্ধে জাতিসংঘের সনদটি অনুস্বাক্ষর করার জন্য খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

নাৎসি জার্মানি, সেন্ট্রাল আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে স্বৈরশাসকেরা এক সময় যেভাবে গুম ও গুপ্ত হত্যার হোতারূপে আবির্ভূত হতেন; তাদের অনুসারীদের মতো আচরণ না করার জন্য খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এমএম/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।