গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানো প্রতারণা : খসরু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:২৩ পিএম, ১৩ মার্চ ২০১৯

বার বার গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানো বড় ধরনের প্রতারণা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান 'তারেক রহমানের ১৩তম কারাবন্দি দিবস ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের মূল উৎপাটনের ষড়যন্ত্র' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় দল এ সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়াতে বার বার গণশুনানি হচ্ছে। কত বড় একটা প্রতারণা। গণশুনানির নামে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এর থেকে বড় প্রতারণা আর কী হতে পারে? সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ১০ বছরে দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা, প্রকৃত আয় কমেছে। তার ওপর বারবার বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এতে দরিদ্র, নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে?

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, যেহেতু তাদের জবাবদিহিতা নেই, তাই তারা (সরকার) সবকিছু উপেক্ষা করে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের দুই শতাংশ বা কয়েক শতাংশ মানুষের কাছে সব সম্পদ পুঞ্জীভূত। এরা হাজার কোটি, লাখ কোটি টাকার মালিক। এদের জন্য সরকারের সব নীতিমালা প্রণয়ন হচ্ছে। এদের মাধ্যমেই সরকার পরিচালিত হচ্ছে। এটা হচ্ছে নিম্নগামী যাত্রা।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে সরকার সন্দেহ সৃষ্টির চেষ্টা করছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপি এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দল। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিএনপি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তাদের আশা ভরসা হচ্ছে আমাদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করা। কিন্তু আমরা এতোদিন যেভাবে হাতে হাত রেখে একতাবদ্ধ হয়ে চলেছি, আগামীতেও সেভাবেই চলতে হবে, এই মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে যেতে হবে।

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডাকসু নির্বাচন দেখেন, নির্বাচন হলে তো আপনি আলোচনা করবেন। নির্বাচন হলে ভালো মন্দের প্রশ্ন আসে। নির্বাচনই তো হয়নি। বাংলাদেশের মানুষের এখন নির্বাচনে কোনো আগ্রহ নেই- তা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আপনারা দেখেছেন।

এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? দেশের মানুষ কীভাবে প্রতিবাদ করে দেখেছেন মেয়র নির্বাচনে। ডাকসু নির্বাচনে রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে-তা বস্তায় বস্তায় ধরা পড়েছে। সেখানে ৪২ হাজার ভোট গুণতে রাত ৩টা বেজেছে। আর আমাদের লাখ লাখ ভোট সন্ধ্যা ৬-৭টার মধ্যেই গণনা শেষ!

বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মইনুল ইসলাম, আলিম হোসেন, লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, আব্দুর রাজি প্রমুখ।

কেএইচ/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।