গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক ডাকসুতে : দুদু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:১৫ পিএম, ১২ মার্চ ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যেটা আমাদের অহংকারের জায়গা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সেই জায়গাটিও গতকাল ফ্যাসিবাদের নগ্ন থাবায় একধরনের নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। ডাকসু নির্বাচনে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক মারা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে সব থেকে মর্মান্তিক ঘটনা।

রাজধানীর নয়াপল্টনে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সংগঠনটির সম্মেলন উপলক্ষে নবগঠিত যুগ্ম আহ্বায়কদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুদু।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিবাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীদের গণতন্ত্রের স্বপক্ষে ভূমিকা আগাগোড়া ছিল। গতকাল এবং রাতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গনের ছাত্ররা শুধু নয়, শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্যকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। এ ঐতিহ্যকে তুলে ধরার দায়িত্ব আবার ঢাবি ছাত্রছাত্রীদেরই নিতে হবে। পাশাপাশি যেসব বিপ্লবী শিক্ষক এ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে আছেন; যারা কখনোই আপস করেননি দুর্নীতির সঙ্গে, স্বজনপ্রীতির সঙ্গে তারাও ছাত্রদের পাশে এসে দাঁড়াবেন- এটা আমরা প্রত্যাশা করি।

নেতাকর্মীদের আন্দোলনের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক এ সভাপতি বলেন, আমাদের লড়াই ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সেই লড়াইয়ে যদি আমরা জয়লাভ করতে না পারি তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্নতার দিকে এগিয়ে যাবে।

শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক দলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মাস্টার, জামাল উদ্দিন খান মিলন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট নাসির হায়দার, এসকে সাদী, মাইনুল ইসলাম, কৃষিবিদ মিজানুর রহমান লিটু, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আলমগীর চৌধুরী, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

কেএইচ/এনডিএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।