ডাকসু নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বরের পথেই যাবে : মান্না
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, '৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনও সেই পথে যাবে। যেখানে গায়ের জোর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের ফলাফল ক্ষমতাসীনরা ছিনিয়ে নেবে।’
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ ভবনের স্বাধীনতা হলে 'মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তির লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ হউন’ শীর্ষক ঘোষণাপত্র প্রকাশের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য এই সভার আয়োজন করে।
ডাকসুর সাবেক ভিপি মান্না বলেন, '১১ তারিখে ডাকসু নির্বাচন। কেমন নির্বাচন হবে? হলের মধ্যে কেন্দ্র, বলবে আপনি চলে যান ভোট দেয়া লাগবে না, কিছুই করতে পারবেন না। পত্রিকায় দেখলাম মেয়েরাই নির্ধারণ করবে এই ভোটের ফলাফল।'
তিনি বলেন, ‘মেয়েরা কি নির্ধারণ করবে? ভয়ে তো ওরা যাবেই না। আর যদিও যায় তাতে কি? বলবে আমার চোখের সামনে ভোট দেন। ওরা যদি ভোট দিতে না যায় তাহলে সেটা বিরাট প্রতিবাদ। আর প্রতিবাদ করে লাভ কি? ওরা বলে প্রতিবাদ যতই করো কানে না ঢুকলেই হয়। ওই যে বলে পিঠে দিয়েছি কুলা, কানে দিয়েছি তুলা- সরকার এরকম বেহায়া।'
মান্না বলেন, 'এবার ডাকসু নির্বাচন সেই পথে যাবে, যে পথে ৩০ ডিসেম্বর গেছে তাহলে ভুল বলা হবে না। আমরা বললাম ৩০ তারিখ রাতে ভোট ডাকাতি হয়েছে। এখানে (ডাকসু) তো রাতে ডাকাতি হবে না, দিনের বেলায় ভয়ভীতি দেখিয়ে, গায়ের জোরে হলের মধ্যে ভোট হবে, ওরা (সরকার সমর্থিতরা) জিতবে। ১৯টা হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার মধ্যে ৪-৫টা অন্যদের দিয়ে দিল। তারপর বলবে গণতান্ত্রিক ফল হয়েছে, তা নাহলে ওরা জিতলো কীভাবে?
তিনি বলেন, 'লড়াই করতে হবে, এই লড়াই আমাদেরকেই করতে হবে। এখন কারো মনে হতে পারে ক্ষমতায় তো যেতে পারলাম না। তাহলে আমরা একলাই চেষ্টা করি। একলা তো পারেন নাই, এখনও পারছেন না। একটা পরিস্থিতি হয়েছে যখন সমস্ত জনগণের ঐক্য লাগবে। এই ঐক্য গড়ার জন্য আমরা এখনও চেষ্টা করছি। পুলিশ লীগ ছাড়া আওয়ামী লীগ থাকবে না। পুলিশ লীগ না থাকলে তখন আওয়ামী লীগ থাকবে কিনা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি আমরা। পুলিশের কাছে এই দেশকে জিম্মি করে রেখেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
সরকারের উন্নয়ন দাবির সমালোচনা করে মান্না বলেন, 'এই অর্থনীতি লুটপাটের। তুমি উন্নয়ন করছো না, লুটপাট করছো। এমন একটা উন্নয়ন হচ্ছে যেখানে মানুষ চাকরি পাচ্ছে না।'
সভায় অন্যদের মধ্যে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এস এম আকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি প্রফেসর নুরুল আমিন ব্যাপারি, ঢাবি'র উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রফেসর রাশেদ আল মাহমুদ, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সি আর আব্রার প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এমএমজেড/পিআর