নিজে শপথ নিলেন, বাকিদেরও আহ্বান জানালেন
সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হন। আজ নিজে শপথ নিয়েছেন। সেইসঙ্গে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত অন্যদেরও শপথ নিতে।
বৃহস্পতিবার সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার পর সাংবাদিকের সামনে এ আহ্বান জানান সুলতান মনসুর।
তিনি বলেন, আমি ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের আরও যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা সংসদে এসে জনগণের পক্ষে কথা বলুন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন, ঐক্যফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ঐক্যফ্রন্ট নেবে। আমি এ কথা বলতে পারি যে, আমি যা করেছি তা আমাদের দলের শীর্ষ নেতার নলেজে করেছি।
তিনি বলেন, আমি এর আগেও সংসদ সদস্য ছিলাম। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ জেনে-বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানির বিষয়ে এ নেতা বলেন, আমরা ৮ জন জয়ী হয়েছি। বাকি ২৯২ আসনে তারা একটি মিছিলও বের করতে পারেনি। তারা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারলে হয়ত আরও অনেকেই জয়ী হতে পারত।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১১টায় সংসদ ভবনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাকে শপথবাক্য পাঠ করান। জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিমসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শপথ শেষে তার জন্য চা নাস্তার আয়োজন করে সংসদ সচিবালয়।
অপরদিকে, ঐক্যফ্রন্টের আরেক প্রার্থী মোকাব্বির খান (সিলেট-২) শপথ নেয়ার কথা থাকলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি শপথ নেননি। আর বিএনপির কোনো নির্বাচিত এমপি শপথ নেবেন না বলে দলটির পক্ষ থেকে শুরু থেকেই বলা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মনসুর এক সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। জরুরি অবস্থার সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে দলে অপাঙক্তেয় হয়ে পড়ার পর তিনি ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ভেড়েন। আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে গণফোরাম গঠনকারী ড. কামাল হোসেন কয়েক বছর আগে জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া নামে একটি ফোরাম গড়ে তোলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার সময় গণফোরাম, জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া দুটোই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়।
এইচএস/জেডএ/জেআইএম