বিএনপি নেতারা কি পদ্মা সেতুতে উঠবেন, না ফেরিতেই যাবেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন বিএনপি নাখোশ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৈরি করা ওভারব্রিজ, সেতুতে তারা ওঠেন আর বলেন দেশের কোনো উন্নয়ন হয়নি। তারা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু করতে পারবেন না। কিন্তু পদ্মা সেতুর কাজ প্রায় ৭০ শতাংশ শেষ। আর কিছুদিন পরই পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি যাবে। এখন কথা হচ্ছে বিএনপি নেতারা কি পদ্মা সেতুতে উঠবেন না ফেরিতেই যাবেন।
বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আপনাদের রাজনীতি বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথায় সীমাবদ্ধ রাখবেন না। কারণ তার চিকিৎসা নিয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত জোটের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক আলমগীর কুমকুম এর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা কয়েকদিন পরপর সংবাদ সম্মেলন করে বলছে বেগম জিয়ার চিকিৎসা হচ্ছে না। এটা বলে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে তারা রাজনীতি করছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আল্লাহর অস্তে আপনাদের রাজনীতি বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথায় সীমাবদ্ধ রাখবেন না। বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসায় সার্বক্ষণিক একজন চিকিৎসক, একজন নার্স নিয়োজিত রয়েছেন। প্রয়োজনে বিদেশি চিকিৎসকদেরও সহায়তা নেয়া হচ্ছে। সব ধরনের নিয়মনীতি ভেঙে তার পছন্দের গৃহপরিচারিকাকেও তার সঙ্গে রাখতে দেয়া হয়েছে। তারপরও মির্জা ফখরুল, রিজভীসহ বিএনপি নেতারা বলছেন তার নাকি ঠিকমত চিকিৎসাই হচ্ছে না।
‘অথচ বেগম জিয়া যখন হাজিরা দিতে আসছে তখন টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে তিনি আগের চেয়ে বেশ পরিপাটিই রয়েছেন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেজা জিয়া আদালতের রায়ে কারবন্দি থাকলেও তাকে বিশেষ ধরনের বিছানা, টিভি, ফ্রিজ দেয়া হয়েছে। যা বাংলাদেশসহ ব্রিটেনের কোনো কারাবন্দিই পায় না।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন কুমার রানা প্রমুখ।
এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস