দেশ উন্নয়নের চরম শিখরে : তোফায়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৩ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের চরম শিখরে আরোহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, গত দশ বছরে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। এই উন্নয়নের একমাত্র কারণ, পরিকল্পিতভাবে দেশ পরিচালনা করা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘বাংলা ভাষা আন্দোলন : অসম্প্রদায়িক জাতিসত্তার বিজয়’ সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশ চালাতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের কোনো পরিকল্পনা ছিল না দাবি করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে দেশ চলছে। ভিশন ২০২১, ২০৪১ এবং ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে বর্তমান সরকার। কিন্তু বিএনপি জামায়াত কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই দেশ চালিয়েছে। তারা ক্ষমতায় থেকে মানুষের উপর জুলুম, নির্যাতন ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমেই ব্যস্ত ছিল।

‘বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৪২তম অর্থনৈতিক দেশ, যা ২০২১ সালে ২৬/২৮ এ আসবে বলে অনেকেই মনে করছে’,- যোগ করেন তিনি।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। এবারের একাদশ জাতীয় সংসদে স্বাধীনতাবিরোধীদের কোনো স্থান হয়নি। অথচ বিএনপি সরকারের সময় মন্ত্রী পর্যন্ত তারা করেছে।’

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, ‘পৃথিবীর সব দেশেই নির্বাচন নিয়ে বিরোধীরা বিতর্ক তৈরি করতে চায়। বিএনপি এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে গতকালও কয়েকটি দূতাবাসে গিয়েছে। অতীতেও ষড়যন্ত্র হয়েছিল, এখনও হচ্ছে। বিএনপি এ নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।’

‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি সংগঠন এই সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক পীযুষ বন্ধোপধ্যায়। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন হারুন হাবীব।

এইউএ/জেডএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।