রাজনীতিতে মামলার স্থান নেই : নাসিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩২ পিএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে বিএনপি, গণফোরাম ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) ৭৪ জন পরাজিত প্রার্থীর মামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বিএনপির নতুন করে নাম হয়েছে মামলাবাজ দল। মামলাবাজ ছাড়া কী বলব? ট্রাইবুনালে গেছেন, ট্রাইবুনালে গিয়ে কী হবে আমি বুঝতে পারি না। গেছেন, ভালো করেছেন। আপনার যাওয়ার অধিকার আছে, গেছেন।’

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘চলমান রাজনীতি বিষয়ে আলোচনা সভা’য় এই মন্তব্য করেন সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী নাসিম।

নাসিম বলেন, ‘আজকে আপনারা মামলা করছেন। যারা হতাশ হয়, তারাই কিন্তু মামলা করে। রাজনীতিতে মামলার কোনো স্থান নেই। রাজনীতি হচ্ছে মাঠের, নির্বাচনের রাজনীতি, আন্দোলনের রাজনীতি। যেখানে মামলাবাজরা কোনোদিন জিততে পারে না। এ দেশে কিছু মামলাবাজ আছে, যারা অহেতুক মামলা করে।’

আলোচনা অনুষ্ঠানে নাসিম বলেন, ‘এখনও সময় আছে, মেরুদণ্ড সোজা করেন। মেরুদণ্ড সোজা করে পার্লামেন্টে যান। সোচ্চার হয়ে কথা বলেন। একজনও কথা বলতে পারেন। না বললে বাংলাদেশ থেকে চিরদিনের জন্য মুছে যাবে আপনাদের নাম।’

জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি চন্দ্র, সূর্যের মতো সত্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘এত খুশি হয়ে নির্বাচনে গেলেন, ঐক্যফ্রন্ট গঠন করলেন, কেন? কেন আন্দোলন করতে পারলেন না। কেন প্রতিরোধ করলেন না, বলেন? মাঠ ছেড়ে চলে গেছেন, পালিয়ে গেছেন। মাঠে আপনাদের কোনো শক্তি ছিল না। জনগণ আপনাদের সর্মথন করেন নাই।’

১৪ দল নিয়ে অহেতুক বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোহাম্মদ নাসিম।

তিনি বলেন, ‘১৪ দল অবশ্যই সরকারের অংশ। ভোটে বিজয়ী হয়েছে ১৪ দলের প্রার্থীরা এবং তারা সরকারের অংশ হিসেবেই কাজ করছে। এখানে কারা বিরোধী দল হবে, কারা হবে না– এ ধরনের কোনো কথা হতে পারে না। নেত্রী যেটা নিজে বলেছেন, ১৪ দল আমার আদর্শিক জোট। ১৪ দল সরকারের অংশ হিসেবে ভেতরে ও বাইরে সরকারের অংশ হিসেবে কাজ করছে এবং করবে।’

এমইউএইচ/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।