দ্রুত দলের পুনর্গঠন চান মওদুদ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
ফাইল ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দলকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলেই আন্দোলনের মাধ্যমে নেত্রীকে মুক্ত করে আনতে পারব।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি একথা বলেন।

‘গণতন্ত্রের মা বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশব্যাপী বিএনপির বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে’ এর আয়োজন করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

মওদুদ আহমদ বলেন, তৃণমূল থেকে দল পুনর্গঠন কতে হবে। যারা খালেদা জিয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে তাদের ওপরে জায়গা দিতে হবে। দল পুনর্গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, একটি সম্পন্ন ভিত্তিহীন মামলায় সরকারের কূটকৌশলে তাকে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তাকে ৫ বছরের সাজা দেয়া হয়েছে রেওয়াজ অনুযায়ী এ মামলার আপিলের ফাইল সাবমিট করলেই তা মঞ্জুর হয়ে যায়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মু্ক্তি হবে না। আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। তাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন।

নির্বাচনপূর্ব গণভবনের সংলাপের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমাদের একটি দাবিও মানা হয়নি। তারপরও কেন নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কারণ ৭৮ হাজার মামলা দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দুটি কারণে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম, আশা ছিল, মানুষ ভোট দিতে পারলে আমরা জয়ী হবো। আর সেদিন আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে বাধ্য হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্ত কিছুই করতে পারিনি। আন্দোলন করতে হলে সংগঠন লাগে। গত ১০ বছর অনেক কর্মসূচি দেয়া হয়েছে। কিন্তু কী দেখলাম মনে হয় কিছুই করা হয়নি।

বিগত নির্বাচনে প্রার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রার্থীদের উচিত হবে, যারা মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের পাশে দাঁড়ানো।

দলের আরেক স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে এক বছর হলো রাজনীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে কী আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্ত করা যাবে? আমরা নেত্রীকে রাজনীতিকভাবেই মুক্ত করে আনব।

তিনি বলেন, কারাগারে থেকে আজকে গণতন্ত্রের জন্য মূল্য দিচ্ছেন। তাই আমাদের রাজপথ আন্দোলন করে দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আনব।

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আবার প্রধানমন্ত্রী করার জন্য আহ্বান জানান বিএনপির এই নেতা।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নাসিম হোসাইন, মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, মো. আব্দুল আউয়াল খান প্রমুখ।

কেএইচ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।