বিএনপির বগলে জামায়াত, ভাগারের কাকই থাকবে : ইনু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিএনপি বগলে জামায়াতকে রেখে কখনই গণতন্ত্রের ময়ূর হতে পারবে না, গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে না বরং জঙ্গিবাদ-সাম্প্রদায়িকতার ভাগারের কাকই থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে দলের দুই দিনব্যাপী জাতীয় কমিটির সভায় শুরুতে দেয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ইনু বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মীমাংসিত ফলাফল যারা অমীমাংসিত করতে চাইছে তারা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত-অশান্তি-অস্থিতিশীলতার রাজনীতির বীজ নতুন করে বপন করছে। বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল জনগণের কাছে প্রত্যাশিত ছিল। জনগণ শান্তি-স্থিতিশীলতা-উন্নয়নের পক্ষে গণরায় দিয়েছে। দেশে-বিদেশে সব মহল নির্বাচনের ফলাফল গ্রহণ করেছে।

নির্বাচন পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি জাসদের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করে ইনু বলেন, এ সরকারের চ্যালেঞ্জ : শান্তি-উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির সফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে ও বৈষম্যের অবসান করতে সংবিধানের নির্দেশ অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি ঢেলে সাজিয়ে সমাজতন্ত্রমুখী করা, দুর্নীতির অবসান করে সুশাসন ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কার্যকর করাসহ রাষ্ট্র কাঠামোর অন্যায্যতা দূর করতে রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক রূপান্তর করা, রাষ্ট্র-সংবিধান-শিক্ষা-সংস্কৃতি-সমাজ থেকে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনে ঘরে-বাইরে সংগ্রাম জোরদার করা।

জাসদ সভাপতি বলেন, নির্বাচন ও রাজনীতির মাঠে পরাজিত জামায়াত-বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট তথা পাকিস্তানপন্থীরা কোনো ফাঁক ফোকর দিয়ে পুনরুত্থানের কোনো সুযোগ যেন না পায় তার জন্য সরকার, ১৪ দল ও সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক শক্তিকে সতর্ক-সজাগ ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জামায়াত-বিএনপি-পাকিস্তানপন্থী রাজনীতি নির্বাচন ও রাজনীতির মাঠে পরাজিত হলেও তাদের পুনরুত্থান প্রতিরোধ এবং দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র-সমাজকে ঢেলে সাজাতে ১৪ দলীয় জোটসহ দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির কার্যকর রাজনৈতিক ঐক্যের প্রয়োজন ও অপরিহার্যতা বিদ্যমান রয়েছে।

ইনু বলেন, ১৪ দলের কোনো শরিক দলের ১৪ দল নিয়ে বিভ্রান্তি বা ভিন্ন বক্তব্য থাকলে সেই দলকেই তাদের অবস্থান সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে। জাসদ ১৪ দলকে ১৪ দলের ঘোষিত ২৩ দফার ভিত্তিতে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। ১৪ দল ও মহাজোট নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জোটগতভাবেই মোকাবেলা করে বিজয় অর্জন করেছে। জনগণ ১৪ দল ও মহাজোটকে সরকার গঠন ও দেশ পরিচালনায় নেতৃত্ব দেয়ার জন্য গণরায় দিয়েছে।

মহাজোটের অন্যতম শরীক এই নেতা বলেন, ১৪ দলের বা মহাজোটের কোনো শরিক সংসদে সরকারের বিরুদ্ধে সংসদীয় অবস্থান বা রাজনৈতিক অবস্থান গ্রহণ করবে কী-না, সেটা সেই দলের নিজস্ব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। ফরমায়েশি বিরোধী দল গঠন সংসদকে কার্যকর করবে না বরং সংসদ সদস্যদের স্বাধীন প্রাণবন্ত ভূমিকাই সংসদকে কার্যকর করবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জামায়াত-বিএনপি দেশ বিরোধী রাজনীতি প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাসদ জাতীয় কমিটির সভায় আরও উপস্থিত রয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম, প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, মীর হোসাইন আখতার, আব্দুল হাই তালুকদার, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, ফজলুর রহমান বাবুল, নুরুল আখতার, নাদের চৌধুরী, সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা, মজিবুল হক বকু, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, নইমুল আহসান জুয়েল, শওকত রায়হান, রোকনুজ্জামান রোকন প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।