চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৯


প্রকাশিত: ০২:৫৮ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০১৫
প্রতীকী ছবি

সোহরওয়ার্দী হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১০০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনার পর ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থেমে থেমে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ চলছিল।

জানা যায়, বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারীরা শোডাউন দেয়। এর  ১০ মিনিট পর পাল্টা শোডাউন দেয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারীরা। পাল্টাপাল্টি শোডাউনের এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে  সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ শাহ আমানত হলে এবং সভাপতি পক্ষ শাহজালাল হলে অবস্থান নেয়।

এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জমির উদ্দিন এবং উপ-দফতর বিষয়ক সম্পাদক ইমাদ আহমেদ সাহিল আহত হয়। পরে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশের এসআই মো. ইউনুস, রুবেল, নিপেন, সায়মন, রাফি, রিমন, সাঈদ, আহত হয়। পরে আহতদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, গত দেড় বছর ধরে ক্যাম্পাসে মহিউদ্দিন চৌধুরীর গ্রুপের কোন অবস্থান ছিলনা। কিন্তু কমিটি হওয়ার পর ৩০/৪০ জন ছেলে নিয়ে এসে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। যেখানে আমাদের আটশ কর্মী সেখানে আমাদের সমতুল্য করার জন্য শিবির কর্মী ঢুকিয়ে দিয়ে দল ভারি করছে। আমরা শিবির কর্মীদের প্রতিহত করতে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা চালায়।
 
সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন বলেন, নছির গ্রুপে সিনিয়রা আমাদের জুনিয়রদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমাদের জুনিয়র কর্মীরা শুধুমাত্র প্রতিহত করেছে। শোকের মাসে যারা এই ধরেণের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করে না।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরীকে বারবার ফোন দেয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

হাটহাজারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সালাউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে পুলিশ প্রায় ১০০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং রাবার বুলেট ছুঁড়ে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত ২০০ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সভাপতি আলমগীর টিপু চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চসিক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী। সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।

এআরএ/আরআইপি


 

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।