‘উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতির প্রেরণার উৎস’
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান বাঙালি জাতির প্রেরণা ও শক্তির উৎস। উনসত্তরের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন আলোচকরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে ন্যাপ-ভাসানী ও জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ যৌথভাবে আয়োজিত সমাবেশে বক্তার এ কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, এই দিনে সংগ্রামী জনতা তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক শাসকগোষ্ঠির দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে মিছিল করে। মিছিলে পুলিশের গুলি করলে নিহত হন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মতিউর রহমান। জনতার রুদ্ররোষ এবং গণঅভ্যুত্থানের জোয়ারে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকার আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকলকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। পতন ঘটে স্বৈরাচারী আইয়ুব সরকারের।
তারা আরও বলেন, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান আজও দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা, ও উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়েই সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি অর্জন করেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি লায়ন গনি মিয়া বাবুল, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ কনজারভেটিভ পার্টির সভাপতি আনিসুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এএস/এএইচ/জেআইএম