মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ২২ জানুয়ারি ২০১৯

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে ন্যাপ কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ৪৭তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সকল অর্জনের কৃতিত্ব কোনো এক ব্যক্তি বা দলের নয়। বৃহৎ রাজনৈতিক দলের সুবিধাভোগী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য ক্ষমতাসীনদের সকল কৃতিত্ব দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। ফলে বার বার ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে ।’

মোস্তফা বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান মজলুম জননেতা ভাসানীকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস নির্মিত হবে না। মওলানা ভাসানী শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা নন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক গুরুও বটে। তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ৯ মার্চ তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন মওলানা ভাসানী। ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়কে সুনিশ্চিত করতে ভোট বর্জন করেছিলেন তিনি।

মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে মওলানা ভাসানীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কোনো ইতিহাস নির্মাণ করা সম্ভব নয়।

ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুন নবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, লেবার পার্টির মহাসচিব আবদুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাফর আহমেদ জয়, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

কেএইচ/এসএইচএস/এমকেএইচ/এসজি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।