নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি হাস্যকর : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:০১ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০১৯

পুনরায় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবিকে হাস্যকর বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, আমন্ত্রণ জানানোর ভেতর সংলাপ নিয়ে কোনো বিষয় নেই। নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্ব কোথাও থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি, সমস্যা নেই। গণতান্ত্রিক বিশ্ব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি। নির্বাচন নিয়ে সংলাপের দাবি হাস্যকর। আমাদের নেত্রী নির্বাচন-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্যই তাদের আমন্ত্রণ জানাবেন, কোনো সংলাপ নয়।

রোববার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি একথা বলেন।

এদিকে শনিবার দলের আরেকটি সভায় ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে ঐক্যফ্রন্ট-যুক্তফ্রন্টসহ ৭৫টি রাজনৈতিক দল গণভবনে সংলাপ অংশ নিয়েছিল।

এখন নির্বাচন শেষ হয়েছে, আমাদের নেত্রী গতকাল ওয়ার্কিং কমিটি ও উপদেষ্টা পরিষদের যৌথ বৈঠকে বলেছেন যে, যাদের সঙ্গে সংলাপ হয়েছে তাদের আমন্ত্রণ করবেন। তাদের সঙ্গে কিছু মতবিনিময় করবেন এবং তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকবে। এ ব্যাপারে আমরাও একমত, যারা সংলাপ এসেছিলেন তাদের আবারও নেত্রী সংলাপে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন...বলে শেষ করেন ওবায়দুল কাদের।

এরপর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গন সংলাপ ইস্যুতে মুখর। এ পরিস্থিতিতে ঐক্যফ্রন্ট কী করবে, তারা সংলাপে অংশ নেবে কিনা? এমন সব প্রশ্ন ঘুরছিল রাজনৈতিক মহলে। এ বিষয়ে সোমবার ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এজেন্ডা বুঝে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলোচনার শর্ত জুড়ে দেন তিনি।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এতোটা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বিজয় নয় মহাবিজয় অর্জন করেছি। এ বিজয়কে সংহত করতে চাইলে আগে দলকে গোছাতে হবে। আমি জানি এ সমস্যা মহানগরেই আছে, সারাদেশেই আছে। এ দুর্বলতা এড়াতে পারলে ‘আওয়ামী লীগ আর কখনও হারবে না’।

কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে ভবিষ্যত বিজয় যদি চান দলকে সুসংহত করেন। আমাদের মাঝে সমস্যা আছে আমরা জানি। এ সমস্যা অতিক্রম করতে হবে। এ সমস্যার সমাধান এ নেতারাই করতে পারবেন, নতুন কাউকে লাগবে না।

হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত থাকা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচন অতিসত্তর অনুষ্ঠিত হবে বলে আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান তিনি।

সমাবেশ সফলের আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯ জানুয়ারি একটা বিজয় সমাবেশ আমরা করতে যাচ্ছি। এ বিজয় অর্জিত হয়েছে অনেক আন্দোলন সংগ্রামের পর। এ বিজয়ের রূপকার আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা। সংগ্রাম-আন্দোলনের মধ্যদিয়ে তিনি তার ভাগ্য গড়ে তুলেছেন। তিনি আজ কেন্দ্রীয় নেতা নন জাতীয় নেতা। আমরা আজ এখানে যারা আছি তারা কেন্দ্রীয় নেতা। তিনি আজ রাজনীতিবিদ নন তিনি রাষ্ট্রনায়ক। পলিটিশিয়ান চিন্তা করে পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আর রাষ্ট্রনায়ক চিন্তা করে পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে। এ বিজয়ের রূপকার একমাত্র শেখ হাসিনা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।

এইউএ/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।