‘নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই সংলাপের কথা বলছেন ড. কামাল’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০১৯

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে। যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, ইতিহাসে বিরল। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ড. কামাল হোসেন সংলাপ নামের ভাওতাবাজির কথা বলছেন।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

জোটের স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, নগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, জোটের উপদেষ্টা সৈয়দ হাসান ইমাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি ও তাদের সহযোগী কিছু নেতার চিকিৎসা প্রয়োজন। তারা বহুল প্রশংসিত নির্বাচনে হেরে সংলাপের কথা বলছেন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এ ধরনের কথা বলছেন। তাদের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা দরকার।

বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করুন এবং নেতৃত্বের পরিবর্তন করলে পরে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বপ্নপূরণে এগিয়ে চলেছে। তার হাত ধরে বাংলাদেশ আজ অতিদরিদ্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত। এটি শেখ হাসিনার জাদুতে হয়েছে। একটি পক্ষ বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে না, এর প্রশংসাও করতে জানে না। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চায়। মনে রাখবেন বোমাবাজি করে ত্রাস করা যায়, ভোট পাওয়া যায় না। সবার আগে বিএনপির নেতৃত্ব প্রয়োজন, তবেই জনগণ আপনাদের গ্রহণ করতে পারে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি, শূন্যতা অনুভব করেছিল দেশ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেই এর পূর্ণতা আসে। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের দিকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ঘাতকরা সেই উন্নয়ন সহ্য করতে পারিনি। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে। তার কন্যা ক্ষমতায় এসে দরিদ্র রাষ্ট্রকে আজ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন।

এমইউএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।